
জেলা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সম্মেলন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ ১১ বছর পর সম্মেলন হতে যাওয়ায় আনন্দিত নেতাকর্মীরা।
উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে সকলে একযুগে কাজ করছেন, উৎসবের সাজে সাজাচ্ছেন সিলেটকে।
পাশাপাশি উপজেলায়ও এর প্রভাব পড়েছে জেলা সম্মেলন হওয়ায়।
আগামী ৫ ডিসেম্বর সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে হতে যাচ্ছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন।
এরইমধ্যে সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। ব্যানার, ফ্যাস্টুনের ছড়াছড়িতে উৎসবের রূপ নিয়েছে পবিত্র এ নগরী। সব মিলিয়ে সুন্দর ও সফল সম্মেলন হবে বলে আশাবাদী আওয়ামী লীগ নেতারা।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন- সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পরিক্ষিত নেতারা স্থান পাবেন, এ ব্যাপারে কেন্দ্রের স্বচ্ছ নির্দেশনা রয়েছে।

যেহেতু আগামীতে মুজিববর্ষ ও মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর পূর্ণ হতে চলেছে, এতে আসন্ন সম্মেলনে গঠন হতে যাওয়া কমিটির গুরুত্বপূর্ণ থাকবে বেশি। তাই এই কমিটিতে যোগ্যরা স্থান পাবে এটা পরিষ্কার।
তিনি আরো জানান, সম্মেলন সফল করার জন্য আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সকলের প্রচেষ্টায় কাজ করা হচ্ছে। সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি, আহ্বান কমিটি, সেচ্ছাসেবীসহ বিভিন্ন ইউনিট গঠন করা হয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। আশা করছি উৎসবমুখর পরিবেশে একটি সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ সিলেট সানকে জানান, “সম্মেলনের সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। সম্মেলন ঘিরে সবার মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে। সকলের সহযোগীতায় সুন্দর ও সফল সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে এটাই প্রত্যাশা।

তিনি আরো জানান, এই সম্মেলনে প্রকৃত আওয়ামী কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। বহিরাগতরা যেনো আওয়ামী লীগে স্থান না পায় সে ব্যাপারে কেন্দ্রের কটুর নির্দেশ রয়েছে। আমরাও চাই আওয়ামী লীগের প্রতিটা কমিটি যেনো বসন্তের কোকিল মুক্ত হয়”।
এদিকে সম্মেলনে আগত নেতাকর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা জানান প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা চাওয়া হবে যাতে সম্মেলনে আসা নেতাকর্মীদের কোন সমস্যা না হয়।
সূত্র: সিলেট সান