ফের বেড়েছে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সময়সীমা। ২৭ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা জেলায় প্রেরণের পূর্ব নির্দেশ থাকলেও নবনির্বাচিত সভাপতি ও সম্পাদক ঐক্যমতে পৌছতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় সভাপতি ও সম্পাদক পৃথক পৃথক কমিটি জেলায় জমা দেয়ার প্রক্রিয়া তৈরি হলেও শেষ পর্যন্ত গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফের সময় চেয়ে নিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জেলায় প্রেরণের সর্বশেষ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র জানায়, গত ১৪ নভেম্বর সম্মেলন শেষে কাউন্সিলারদের প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কাউন্সিল অধিবেশনের সমাপনী বক্তৃতায় জেলা নেতৃবৃন্দ নির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদককে নির্দেশ দেন ১৯ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলায় প্রেরণের জন্য। এই সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পেরে সভাপতি ও সম্পাদক ১৯ নভেম্বর জেলার দায়িত্বশীলদের সাথে দেখা করে দ্বিতীয় দফা সময় চান। এতে ২৭ নভেম্বরের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে জেলায় প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময়ের মধ্যে নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান খান ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল দফায় দফায় বৈঠক করলেও শেষ পর্যন্ত চূড়ান্ত ঐক্যমতে পৌছে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এ অবস্থায় আজ ২৭ নভেম্বর উভয় বলয়ের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক কমিটি জেলায় প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছিল বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে। তবে পৃথক তালিকা জেলায় প্রেরণের ক্ষেত্রে সৃষ্ট নানা মেরুকরণ ও কাটছাট প্রক্রিয়ার লাভ ক্ষতির আশংকা থেকে শেষ পর্যন্ত একটি বলয় উপর মহলের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ফের সময় বাড়িয়ে নিয়েছে। তৃতীয় দফায় বর্ধিত সময় আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সভাপতি আতাউর রহমান খান ও সম্পাদক মাকসুদুল ইসলাম আউয়াল ঐক্যমতের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জেলায় প্রেরণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এখন দেখার বিষয়, তৃতীয় দফায় বর্ধিত সময়ের মধ্যেও নবনির্বাচিত দুই নেতা ঐক্যমতে পৌছতে পারেন কি না? তাদের দিকেই তাকিয়ে আছে বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী পরিবার।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সভাপতি ও সম্পাদকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা ফোন রিসিভ করেননি।
শেয়ার করূন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *