তিনি বরাবরই ক্রীড়া অনুরাগি, খেলাপ্রেমী। মন প্রাণ দিয়ে খেলা ভালবাসেন। হোক তা ক্রিকেট কিংবা ফুটবলের বড় আসর, আন্তর্জাতিক ম্যাচে সময়-সুযোগ পেলে শত ব্যস্ততার মাঝেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাঠে চলে আসেন, খেলা দেখেন।

বাংলাদেশ যেখানেই খেলুক না কেন, তিনি ঠিকই দলের খোঁজখবর রাখেন। ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করেন। সাহস ও উদ্যম জোগান। নিজে ফোনে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসানসহ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেন।

এ দেশের ক্রিকেটের অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্তেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফোনে উদ্বেলিত, পুলকিত ও রোমাঞ্চিত হয়েছেন ক্রিকেটাররা। এই তো ঘরের মাঠে তিন জাতি ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচে আনকোরা নবীন আফিফ হোসেনের সাহসী ও ব্যাটিং নৈপুণ্য দেখে তার সাথেও ফোনে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। আজ (শুক্রবার) বাংলাদেশ ও ভারতের প্রথম গোলাপি বলের দিবারাত্রির ঐতিহাাসিক টেস্ট দেখতেও বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন ইডেন গার্ডেনসে।

দুই দেশের ঐতিহাসিক টেস্ট শুরুর আগে ক্রিকেটারদের সাথে পরিচিতি হন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও ছিলেন। তবে ঐ পরিচিতি পর্বের প্রধান আকর্ষণই ছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। যেখানে তিনি ছিলেন স্বপ্রতিভ, প্রাণবন্ত ও প্রাণোচ্ছল। প্রথমে স্বাগতিক ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচিতি পর্বে অধিনায়ক বিরাট কোহলি ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রীকে। তিনি হাসি মুখে ক্রিকেটারদের সাথে করমর্দন করেন, শুভেচ্ছা জানান।

আর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরকে আর তার পরিচয় করিয়ে দিতে হয়নি। তিনি প্রায় সবাইকে ভাল চেনেন। টিভির পর্দায় দেখা গেলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রায় ক্রিকেটারের সাথে খুবই হাসিমুখে কথা বলেন। বোঝাই গেল, প্রায় সব ক্রিকেটারকেই তিনি উৎসাহ জোগালেন। ভাল খেলতে অনুপ্রাণিত ও শুভকামনায় সিক্ত করলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *