বিয়ানীবাজার উপজেলার কুড়ার বাজার ইউনিয়ন ভূমি অফিস যেন রমরমা ঘুষের হাটে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের বেশকিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা,বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকার লোকজন। দলিল-দাখিলাসহ সঠিক কাগজপত্র নিয়ে এ কার্যালয়ে সেবা নিতে আসা লোকজন প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। অপরদিকে ভুয়া কাগজপত্রসহ নায়েব সিন্ডিকেট ও দালাল চক্রের মাধ্যমে আসা লোকজনের কাজ সম্পাদন হচ্ছে দ্রুতগতিতে। এসব ভূমি অফিস ঘিরে গড়ে উঠেছে দালাল চক্র।আব্দুল কাদির নামে এক ভুক্তভোগী জানান,গত ২০ সেপ্টেম্বর তিনি ই-নামজারীর জন্য আবেদন করেন যার নং হল১৫,৮৩,৩১২ এবং আব্দুস সামাদ নামে আরেকজন আবেদন করেন নং হল১৫,৭৯,৭১০ এই দুটি
নামজারী আবেদন করা হয় সহকারী ভুমি বিয়ানীবাজার খোশনুর রুবাইয়াৎ বরাবরে। আবেদনের দু-দিনপর মোবাইলে এসএমএস আসে তফসিল অফিসে
যোগাযোগ করার জন্য। ম্যাসেজ পেয়ে আব্দুল কাদির ও আব্দুছ সামাদ কাগজের মুল কপি নিয়ে তফসিল অফিসে যান। সে দিন কাগজ দেখে বললেন পরে আরেক দিন
আসেন দু-জন ফিরে বাড়ীতে গেলেন। তারপর পরের সপ্তাহ গেলে কাগজের মুল কপির রেকর্ড যাচাই করে দেখেন ভুমি
সহকারী কর্মকর্তা নারায়ন রায় কাগজ দেখে ঐ দিন ও রিপোর্ট দেননি।পরে তাহারা বিচারপার্থী হন বিয়ানীবাজার সহকারী ভুমি কর্মকর্তা খোশনুর রুবাইয়াৎ বরাবরে।তিনি
অফিসের অন্য কর্মকর্তাকে ডেকে বলেন নারায়ন রায়ের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক রিপোর্ট দেওয়ার জন্য।
সর্বশেষ আব্দুল কাদির আব্দুছ সামাদ গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্প্রতিবার ভুমি অফিসে গেলে নারায়ন রায় বড় অংকের টাকা দাবী করেন।

সে সময় উপস্হিত ছিলেন কুড়ার বাজারের গন্যমান্য ব্যক্তি সহ সাবেক উপজেলা নির্বাচনের ভাইস চেয়ারম্যান পার্থী ও যুবলীগ নেতা মামুনুর রশিদ খান।তখন মামুনুর রশিদ খান নারায়ন রায়ের কথা শুনে হটলাইন
১৬১২২ এ কথা বলে এই চিত্র ধরে তুলে অভিযোগ জানান,এই সব দেখে নারায়ন রায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামুনকে অশ্লিল ভাষায় গালি গালাজ করেন বলে সিলেটপোস্টকে জানান মামুনুর রশিদ খান।তিনি আরো জানান,গত
সপ্তাহে চারাবই মৌজার একটি খাজনা রশিদ আব্দুছ
সুবহান চৌধুরীর কাছ থেকে ৮ শত টাকার পরিবর্তে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে। এভাবেই নারায়ন রায় একের পর এক দুর্নীতি করে যাচ্ছে। ভুক্তভোগীরা জানান, বর্তমান সহকারী
কমিশনার (ভূমি) যোগদানের পর থেকেই উপজেলা ভূমি অফিস ঘিরে দালাল চক্র বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ক্রমে এ কার্যালয়টি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এ কার্যালয়কে এখন ঘুষের হাট হিসেবে আখ্যায়িত করছেন এবং জানিয়েছেন তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানির কথা। এতে সেবাপ্রত্যাশী সাধারণ লোকজন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।

এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে নারায়ন রায়ের
সাথে কথা বলার জন্য চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল কল রিসিভ করেননি।

তথ্য সূত্র সিলেট প্রেস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *