ঢাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে শিক্ষিকার মারধরে মো. ইয়ামিন (৮) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে চিকিৎসাধীন মিটফোর্ড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ইয়ামিনের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনার পর পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা তামান্না আক্তার চাঁদনি।
জানা গেছে, খেজুরবাগ মদিনাতুল উলুম সিদ্দিকীয়া জান্নাতিয়া মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র ইয়ামিন। রোববার মাদ্রাসার অপর এক ছাত্রের সঙ্গে ইয়ামিনের ঝগড়া হয়। এ নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষিকা তামান্না আক্তার মাদ্রাসার একটি কক্ষে তাদের বিচার করতে বসেন। একপর্যায়ে সে ইয়ামিনকে মারধর করেন এবং গলা টিপে ধরেন।
নিহতের বাবা আশ্রাফ ফকির জানান, রোববার দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাসায় ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ইয়ামিন। এসময় তার গলা দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসে। দ্রুত ইয়ামিনকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
পরে তারা জানতে পারেন, মাদ্রাসার শিক্ষিকা তামান্না আক্তার ইয়ামিনকে মারধর করেছেন এবং গলা টিপে ধরেছিলেন। এজন্য ইয়ামিন অসুস্থ হয়েছে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাজামান জানান, শিক্ষিকার মারধরে ইয়ামিন মারা গেছে- তার পরিবার এমন অভিযোগ করেছে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
তিনি আরও জানান, অভিযুক্ত শিক্ষিকার বাসায় পুলিশ গিয়েছিল। কিন্তু ওই শিক্ষিকা বাসা তালাবদ্ধ করে পালিয়েছেন।
এদিকে রোববার দুপুরে খেজুরবাগের ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তালা ঝুলছে। স্থানীয় কয়েকজন জানান, শিশুটি মারা যাওয়ার খবরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে মাদ্রাসার লোকজন।