ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ অন্যান্য ছাত্রদের ওপর রোববারের হামলার ঘটনায় সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যাচ্ছে না। শিক্ষার্থী ও ডাকসুর প্রশাসনিক কর্মকর্তারা জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কর্মীরা হামলার পর ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করার মনিটর ও হার্ডডিস্ক নিয়ে চলে গেছে।

সোমবার দুপুরে সরেজমিন ডাকসু কার্যালয়ে গিয়ে কার্যালয়ে ও বিভিন্ন দফতরে মোট ৯টি সিসিটিভি ক্যামেরা দেখা গেছে। ক্যামেরাগুলো দিয়ে ২৪ ঘণ্টা ভিডিও ধারণ করা হতো। হার্ডডিস্কে ফুটেজ জমা থাকতো ১৫ দিনের।

সরেজমিন গিয়ে প্রতিটি ক্যামেরাই অক্ষত অবস্থায় দেখা যায়। ডাকসুর অফিস কক্ষ থেকে ফুটেজগুলো পর্যবেক্ষণ করা হতো।

ডাকসুর সিনিয়র প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে সেই অফিস কক্ষে নিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘হামলাকারীরা সব নিয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘হামলার সময় হামলার বিষয়ে জানাতে আমি প্রক্টর স্যার ও কোষাধ্যক্ষ স্যারের কাছে গেছি। এসময় কে বা কারা সিসিটিভির হার্ডডিস্ক ও মনিটর নিয়ে যায়। আমাদের স্টাফরা হামলার ভয়ে পালিয়ে যায়।’

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী  গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজ ছিনতাই হয়েছে বলে আমরা শুনছি। এখন সিসিটিভি ফুটেজ কে নিয়েছে তাও আমরা জানি না। এ বিষয়ে আমরা এখন কী করব বলতে পারছি না।’

ফুটেজ ছিনতাইয়ের বিষয়ে অভিযুক্ত মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ও ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার মাহমুদ সনেটকে ফোন দিলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার দুপুর পৌনে ১টার দিকে ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও তার অনুসারীদের ওপর হামলা চালায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের নেতাকর্মীরা। হামলায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করা হয়। এছাড়া বাইরে থেকেও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। হামলায় অন্তত ৩২ জন আহত হন।

এ ঘটনায় ভিপি নুরসহ আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে ফারাবীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এছাড়া আহত বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে ঢামেক থেকে ছেড়ে দেয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *