আমি গত ৪০ বছর হল প্রবাসে তিন বছর জার্মানে ও ৩৭ বছর আমেরিকায় জীবন যাপন করে এখন অবসর জীবন যাপন করছি ৷


আমি আমেরিকার রাজনীতির সাথে ৩০ বছর ধরে জড়িত৷
মুসলমানদের অধিকার আদায়ে কাজ করে থাকি৷
আমেরিকাতেও মুসলমানদের সন্ত্রাসী হিসাবে মিডিয়া প্রচার করে থাকে। আমেরিকায় ৩ হাজার মসজিদ ও অনেক মাদ্রাসা আছে ৷


১৯৬৩ সালে আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুসলিম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন (MSA)প্রতিষ্ঠা করেন ৷
এর পর ICNA,ISNA,CAIR,MUNA সহ আরও অনেক সংগঠন আছে ৷ কিন্তু এখন যদি গুগলে মুসলিম স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন(MSA)পরিচয় জানতে চান দেখবেন সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে গন্ধ আছে ৷


ইহার কারন ফিলিস্তিন ও ইসরাইলের দ্বন্ধের কারনে আমার মনে হয় ৷রোহিঙ্গা, কাশ্মির ও ভারতের মুসলমানদের নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হইতেছে ৷

মিয়ানমার ও ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুসলমানদের অনেক অবদান আছে ৷ ভারতে এটম বোমার জনক মুসলমান৷
তবে কেন মুসলমানদের এই দূরঅবস্হা ৷

হাসান আলী ও স্টেট সিনেটর লুইস

আমার মতে স্বাধীনতা পরে ও আগে মুসলমানরা যে সব মাদ্রাসা বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে ছিলেন সেখান থেকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য যোগ্য লোক গড়ে তোলার ব্যবস্হা করতে পারেনি , শুধু ইসলামী দাওয়াত ও মসজিদের ঈমাম গড়ে তুলেছেন ৷


ইসলামি দলগুলিও যোগ্য লোক গড়ে তুলতে পারেনি৷
এখন এই সব বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে সামনে দিকে অগ্রসর হতে হবে ৷কাহাকে দোষারুপ না করে আমাদের যোগ্য লোকেরা এগিয়ে এসে সমস্যা সমাধানে কাজ করতে হবে ৷
কারণ আল্লাহ ফেরেস্তা পাঠিয়ে মুসলমানদের সমস্যার সমাধান করে দিবেন না ৷


আমেরিকান মুসলমানদের করনীয়ঃ——
আমেরিকা পৃথিবীর সুপার পাওয়ার, আমেরিকার কংগ্রেস ও গভর্ণমেন্ট বিশ্বের কোথাও সমস্যা দেখা দিলে হস্তক্ষেপ করে ও সাহায্য করে থাকে ৷রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমারের উচ্চ পদস্হ সেনা অফিসারারের বিরুদ্ধে ট্রাভেল নিষেধাঙ্গা আরোপ করেছে ৷ভারতকে নোটিশ দিয়েছে মুসলমানদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে ৷ উইঘুর মুসলমানদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বন্ধ করতে আমেরিকান সরকার চায়না কিছু কর্মকর্তা উপর নিষেধাঙ্গা আরোপ করেছে ৷
(১)প্রত্যেক আমেরিকান মুসলমান নিজ নিজ এলাকার কংগ্রেসম্যানকে মসজিদে আমন্ত্রন জানিয়ে ভারতের মুসলমানদের উপর অঁঁংত্যাচার থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য আমেরিকান কংগ্রেসে বানিজ্যিক অবরোধ বিল উত্থাপন করে পাশ করতে অনুরোধ করা ৷

(২)ভারতের মুসলমানদের উপর অত্যাচার নিজ চোখে দেখার জন্য কংগ্রেসের ফরিন রিলেশন কমিটির সদস্যদের ভারতে পাঠানোর ব্যবস্হা করা

(৩)প্রত্যেক শুক্রবারে প্রতিটি মসজিদে ভারতের পণ্য বর্জনের খুতবা দেওয়া ৷

(৪) নিজ নিজ সামর্থ মত ইসলামী রিলিথ,হেলফিং হেন্ড অথবা যে কোন বিশ্বস্ত এজিও মাধ্যমে ডনেশন দেওয়া মুসলমানদের সাহায্যের জন্য ৷মুসলমানদের ঈমানী দায়িত্ব অন্য মুসলমান বিপদে পড়িলে প্রথমে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা,দ্বিতীয়ত সম্পদ দিয়ে, তৃতীয়ত শক্তি দিয়ে অর্থাৎ কংগ্রেসে লিবিং করে সমস্যার সমাধানে অবদান রাখা ৷আল্লাহ আমাদের সহায় হউন৷

হাসান আলী, কনভেনার আমেরিকান মুসলিম পলিটিকেল একশন কমিটি ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *