
পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি দুর্বিষহ করে তুলেছে ক্রেতাদের। সরকারের নানা পদক্ষেপ নেওয়া সত্ত্বেও কমছে না পণ্যটির দাম। জরুরি ভিত্তিতে কয়েকটি দেশ থেকে প্লেনে করে পেঁয়াজ আম’দানি করা হচ্ছে, তবুও ক্রেতা নাগালের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটি। চলতি বছরে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তবে দাম যাতে আর না বাড়ে, সে জন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে বাজারে খোঁজখবর নেওয়ার কাজ চলছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) পক্ষ থেকে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কাছে দেশের পেঁয়াজের বাজার পরিস্থিতি ও প্রতিযোগিতার অবস্থা তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের অনুরোধে করা ওই গবেষণা প্রতিবেদনের প্রাথমিক ফলাফল সম্প্রতি চূড়ান্ত করে জমা দেওয়া হয়েছে। এই গবেষণায় পেঁয়াজের চাহিদা, উৎপাদন, দাম বৃদ্ধি, কোন অঞ্চলের মানুষ বেশি পেঁয়াজ খায়, কোন অঞ্চলের মানুষ কম খায়, বাংলাদেশে কোথায় বেশি উৎপাদন হয়, কোথায় কম হয়- এসব বেরিয়ে এসেছে। বিশ্বে পেঁয়াজের উৎপাদন কোথায় হয়, কোথায় কম হয় এসব তথ্যও তুলে ধ’রা হয়েছে।
বিআইডিএসের গবেষণায় বলা হয়, সিলেট অঞ্চলের মানুষ বেশি পেঁয়াজ খায়। অন্যদিকে কম খায় বরিশাল অঞ্চলের মানুষ। দেশে একেকটি পরিবারে প্রতি মাসে সর্বনিম্ন এক কেজি ৫৬ গ্রাম থেকে সর্বোচ্চ চার কেজি ৯১ গ্রাম পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের পরিবারগুলো সেপ্টেম্বরে বেশি পেঁয়াজ ব্যবহার করে। এ মাসে সিলেট অঞ্চলের পরিবারগুলো গড়ে চার কেজি ৯১ গ্রাম পেঁয়াজ ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ঢাকায় তিন কেজি ৫৬ গ্রাম, রাজশাহীতে তিন কেজি ৭৪ গ্রাম চট্টগ্রামে তিন কেজি ১৯ গ্রাম, খুলনায় দুই কেজি ৬২ ও রংপুরে আড়াই কেজি পেঁয়াজ ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে দেশের পরিবারগুলোতে পেঁয়াজ কম ব্যবহার হয়ে থাকে। অফ সিজনের কারণে এ সময়ে পেঁয়াজের সরবরাহ কম থাকে বলে।
বিভাগ ভিত্তিক পেঁয়াজ খাওয়া নিয়ে গবেষণা করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, খাদ্য অধিদপ্তর এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মক’র্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন গবেষকেরা। বিআইডিএসের জ্যেষ্ঠ গবেষণা ফেলো নাজনীন আহমেদের নেতৃত্বে মূল গবেষণাটি করা হয়।
সূত্র: সিলেট ভয়েস