সম্পাদকীয়: আলেম-উলামারা নবীর উত্তর সূরী । এই হাদিসের উপর ভিত্তি করে আমরা সাধারন মানুষজন আলেম উলামাদের মহব্বত করি , অনুস্বরন- অনুকরণ করি । তাদের বাতলানো সঠিক সৎ পথে চলার চেষ্টা থাকে সবারই ।
কেউ সফল হয় আর কেউ হয়ত সফল হতে পারে না ।

বাংলাদেশ ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে প্রায় সবাই আলেম উলামা অনুসারী । সবাই কারে না কারো ভক্ত বা অনুসারী।
আলেম-উলামারা ইসলাম আর ঈমান সম্পর্কে যা জানেন আমরা সাধারন জনগন তা জানি না । সাধারন মানুষেরা কেউ কেউ কোরআন হাদিস পড়ে বা রিসার্জ করে জানতেছে বা জানার চেষ্টায় আছে ।

কিন্তু দু:খ্যজনক হলেও সত্য যে
বর্তমান ওয়াজ মাহফিল বা তাফসীর মাহফিলে যে পরিমানে এক জন আলেম আরেকজন আলেমকে দূষারোপ করেন বা গালাগালি করেন তা খুব হতাশার বিষয় সাধারন মানুষের জন্য।

সোস্যাল মিডিয়ায় কিছু দিন ধরে এসব হুজুরদের ভিডিও বারবার চেখে পড়তেছে ।
কোন কোন আলেম একজন আরেকজন আলেমকে বাটফার , ইহুদিদের দালাল এমন কি কাফির বলে ফতোয়া দিতেছেন ।
যা খুব ঘৃনিত একটা ব্যাপার ।

সাধারন জনগন যাদের কাছ থেকে কিছু শিখবে তাদের মুখের ভাষায় সবাই হতভিম্ব ।

বর্তমানে তাফসীর মাহফিলে মানুষের উপস্হিতিই প্রমান করে মানুষ এখন কোরআন মুখি হচ্চে বা হতে চাচ্চে ।
যুবকদের কাছে যার ওয়াজ বা তাফসীর তুলনামূলকভাবে বেশি জনপ্রিয় তিনি হলেন মিজানুর রহমান আজহারী ।
তার মাহফিল থেকে কিছুটা হলেও শিখতে পারা যায় বা তার কথাগুলো কোরআন হাদীস নির্ভর যুবকদের নিকট থেকে শুনতে পাওয়া যায় ।
লাইলী মজনু আর কিচ্চা কাহিনী নির্ভর ওয়াজ তার কাছ থেকে এতো শুনা যায় না ।

কিন্তু তার বিরোদ্ধে আছে নানান বদনাম সহ ইহুদিদের দালাল খেতাব ।
খুব সম্মানিত একজন আলেম আল্লামা মুমিনুল হক । যাকে আমি খুব ভালো সম্মান করি । কিন্তু তার বাবা দাদার গৌরভ করে যে কথা গুলো বলেছেন তা খুব হতাশাজনক ।

একজন ভালো মানের আলেম হতে হলে যে বাবা বা দাদা ভালো আলেম হতে হবে তা তো কোরআনে কোথায় উল্ল্যেখ আছে বলে আমি শুনি নি ।
উনি নিজে আরেকজন আলেম কে এমন ভাষায় গালাগাল দিতে পারেন ভাবতেও খারাপ লাগে ।

পীর জাদা চরমোনাই
আরেকজন স্বনামধন্য আলেমে দ্বীন । উনিও বাদ যাননি মিজানুর রহমান আজহারী নিয়ে খারাপ কথা বলতে ।

আর কুয়াকাটার হুজুর তো বৃস্টি না হলে জনপ্রিয়তা দেখিয়ে দিতেন বলে অহংকার ভালোভাবেই জেড়ে দিলেন ।

কানাইঘাটের আলেম – উলামরা তো আজহারী কে সিলেটে প্রোগ্রাম করতে না দেয়ার জন্য তো ডিসি বরাবর স্বারক লিপি প্রেরন করে সফলও হয়ে ছিল ।
তার কিছু কিছুদিন পর জৈন্তায় রাতে গান-বাজনার আয়োজন করা হয় অথছ তাতে বাধা দেয় নি কানাইঘাটের কোন আলেম-উলামা ।
এই ঘঠনার পর থেকেই সোস্যাল মিডিয়ায় প্রচুর সামালোচনা করা হয় ঐ সব আলেমদের।

মানুষ মাত্রই ভূল থাকতে পারে । আমরা মানুষ কেউ ভূলের উর্ধে নয়। ভূল করে যদি কেউ ক্ষমা করে প্রার্থনা করে তাহলে সেটাই হবে উপযুক্ত ব্যাক্তিত্ত্ব ।

কিন্তু যারা হর হামেশা ভূল করেই যাচ্ছে তো যাচ্ছেই কোন তুয়াক্কা না করেই । কোরআন হাদিসেকে নিজের পক্ষে নিয়ে মনগড়া বিশ্লেষন করেছেন অনেকে । তাদের তো কোন অনুশোষনা দেখতেছি না ।
যা আমাদের জন্য বিরাট একটা বিপদজ্জনক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে ।

আলেম-উলামাদের এই সব কার্যকলাপে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারাই নিজেরাই । তার সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন আলেম- উলামা প্রিয় সাধারন জনগন ।

আমাদের উচিত এই সব গীবত মার্কা কথা-বার্তা ছেড়ে দিয়ে সবাই মিলেমিশে কোরআন আর হাদিসের সঠিক ব্যাখ্যা অনুযায়ী জীবন পরিচালনার জন্য নিজে আমল করা আর অন্যদের কে আমল করতে উৎসাহিত করা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *