শুরুটা ছিল মন্থর। মাঝপথে কেউ রানের গতি বাড়াতে পারেননি। শেষদিকেও কোনো ব্যাটসম্যান ঝড় তুলতে পারলেন না। ফলে ফাইটিং স্কোরও পেল না বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ প্রথমটিতে পাকিস্তানকে ১৪২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে তারা।

শুক্রবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে নামেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ। শুরুটা সাবধানী করেন তারা। উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলেন ৫০ রান। তবে রান তোলার গতিটা ছিল মন্থর। সেটা বাড়াতে গিয়েই দলীয় ৭১ রানে রানআউটে কাটা পড়েন তামিম। ফেরার আগে ৩৪ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৯ রান করেন তিনি।

স্লো-গতিতে রান ওঠায় ব্যাটিংঅর্ডারে পরিবর্তন এনে লিটন দাসকে ওয়ানডাউনে নামানো হয়। তাকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন নাঈম। তবে সতীর্থকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন। রানের চাকা দ্রুতগতিতে ঘোরাতে পারেননি তিনি। খানিক পরই রানআউটে ফিনিশি হন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

এ পরিস্থিতিতেও খোলসবন্দি থাকেন নাঈম। তা থেকে বের হতে গিয়ে শাদাব খানের শিকারে পরিণত হন তিনি। ফেরার আগে ৪১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রান করেন বাঁহাতি ওপেনার। পরে আফিফ হোসেনকে নিয়ে রান বাড়ানোর প্রচেষ্টা চালান মাহমুদউল্লাহ। তবে ব্যর্থ হন আফিফ। অভিষিক্ত হারিস রউফের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম উইকেট হয়ে ফেরেন তিনি।

তার পর ক্রিজে আসেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ঝড় তুলতে পারেননি তিনিও। শাহীন আফ্রিদির শিকার হয়ে বিদায় নেন বাঁহাতি ব্যাটার। শেষ খবর পর্যন্ত ১৬ ওভার শেষে ১০৬ রান করেছে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ৫ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। তাকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে এসেছেন আফিফ হোসেন।

দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর পাকিস্তানের মাটিতে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ। তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এটি। প্রথম ধাপে এদিন থেকে শুরু হচ্ছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একই ভেন্যুতে ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি গড়াবে সিরিজের বাকি দুটি টি-টোয়েন্টি। সিরিজ শেষে আগামী ২৮ জানুয়ারি দেশে ফিরবে টিম বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ নাইম শেখ, আফিফ হোসেন ধ্রুব, লিটন কুমার দাস, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ও আল-আমিন হোসেন।

পাকিস্তান একাদশ: আহসান আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), মোহাম্মদ হাফিজ, শোয়েব মালিক, ইফতেখার আহমেদ, ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান, হারিস রউফ, শাহীন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ হাসনাইন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *