সিরিজের একমাত্র টেস্টে লড়ছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। প্রথম দিন খেলা হয়েছে নির্ধারিত ৯০ ওভার। ২২৮ রান করেছেন সফরকারীরা। তাদের ৬ উইকেটে তুলে নিয়েছেন স্বাগতিকরা। তাই দিন শেষে দুদলই সমানে সমান।

শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক ক্রেগ অরভিন। তবে ব্যাট করতে নেমে সাবলীল ছিলেন না তার টিমের দুই ওপেনার প্রিন্স মাসভাউরে ও কেভিন কাসুজা। রান পেতে ভুগছিলেন তারা। প্রথম ৬ ওভারে কোনো রানের খাতা খুলতে পারেননি এ জুটি।

স্বভাবতই চাপ বাড়ছিল। তা কাটাতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন কাসুজা। আবু জায়েদের বলে গালিতে তার দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন নাঈম হাসান। তাতে দলীয় ৭ রানে ভাঙে সফরকারীদের ওপেনিং জুটি। পরে ক্রেগ অরভিনকে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠেন প্রিন্স মাসভাউরে। ধীরে ধীরে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তোলেন তারা।

এক পর্যায়ে দারুণ মেলবন্ধন গড়ে ওঠে মাসভাউরে-অরভিনের মধ্যে। টাইগার বোলারদের রীতিমতো শাসাতে শুরু করেন তারা। উভয়ই ব্যাটে স্ট্রোকের ফুলঝুরি ছোটাতে থাকেন। তাতে এগিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশকে হতাশ করে ১ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে লাঞ্চে যায় তারা।

বিরতি থেকে ফিরেও ছন্দময় ক্রিকেট খেলেন মাসভাউরে-অরভিন। তবে হঠাৎ ছন্দপতন ঘটে তাদের মধ্যে। নাঈমের কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন মাসভাউরে। ফেরার আগে করেন ক্যারিয়ারসেরা সর্বোচ্চ ৬৪ রান। তাতে অধিনায়কের সঙ্গে ভাঙে তার ১১১ রানের জোট।

সেই রেশ না কাটতেই অভিজ্ঞ ব্র্যান্ডন টেইলরকে সোজা বোল্ড করে দ্রুত ফিরিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করেন নাঈম। এ পরিস্থিতিতে অরভিনের সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করেন সিকান্দার রাজা। ভালোই খেলছিলেন তারা। তবে সেই পথে বাদ সাধেন সেই নাঈম। উইকেটের পেছনে লিটন দাসের তালুবন্দি করে রাজা শিকার করেন তিনি।

ফলে জিম্বাবুয়ের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। এর সদ্ব্যবহার করেন আবু জায়েদ। সেই সুযোগে টিমিসেন মারুমাকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। তাতে লড়াইয়ে থাকে বাংলাদেশ।

সংগ্রাম করে জিম্বাবুয়েও। একে একে ফিরে যান টপঅর্ডাররা। তবে একপ্রান্ত আগলে থেকে যান অরভিন। সতীর্থদের যাওয়া-আসার মাঝে দারুণ খেলেন তিনি। পথিমধ্যে সেঞ্চুরি তুলে নেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। তার তিন অংক ছোঁয়া ধৈর্যশীল ও দায়িত্বশীল ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ তোলার চেষ্টা করে দলটি।

তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় সেঞ্চুরি তোলার পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি অরভিন। খানিক পরই নাঈমের বলে ক্লিন বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৩ চারে ১০৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন জিম্বাবুইয়ান অধিনায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *