অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপু মনির হস্তক্ষেপে সেই পাঁচ এসএসসি পরীক্ষার্থী পেয়েছে প্রবেশ পত্র। রবিবার বিকাল ৪টায় সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মজিদুল ইসলাম এ পাঁচ পরীক্ষার্থীদের হাতে প্রবেশ পত্র তুলে দেন। এতে খুশি পাঁচ পরীক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও স্কুল শিক্ষকরা।
‘বিয়ানীবাজারে এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র না পেয়ে কাঁদছে ৫ শিক্ষার্থী’- এ শিরোনামে বিয়ানীবাজারের প্রথম অনলাইন পত্রিকায় রবিবার সংবাদ প্রকাশ করেছিল। একই বিষয় নিয়ে জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করে। যার ফলে ঠনক নড়ে সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, পরীক্ষার দুইদিন আগে প্রবেশ পত্র না পেয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এসএসসি পরীক্ষার্থী খায়রুল হাসান উৎসব, সাব্বির হোসেন, ফাতেমা তুজ জোহরা, আমিনা হোসন ও সোহানা শামসুদ্দিন তাজিন। গতকাল বিকালে সিলেট শিক্ষা বোর্ড প্রাঙ্গনে অশ্রুঝরা চোখে ফুটে উঠে খুশির ঝিলিক। উৎসব-ফাতেমারা প্রবেশ পত্র হাতে পেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ড. দিপুমনির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ গত কয়েকদিন ধরে যারা তাদের সহযোগিতা করেছেন সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
শেখ ওয়াহিদুর রহমান একাডেমী শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, গত কয়েকদিন আমরা খুব অসহায় ছিলাম। শেস পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হাতে প্রবেশ পত্র পেয়েছে। কাল (আজ) থেকে তারা পরীক্ষা দিতে পারবে এটা মনে হতেই এক ধরনের পুলকবোধ করছি। শিক্ষক জাহিদু রহমান জাহিদ বলেন, গত ৭২ ঘন্টা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জীবনের একটি কঠিন মুহূর্ত ছিল। শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতায় আমরা কঠিন সময়টি অতিক্রম করেছি এবং শিক্ষার্থীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছি।
প্রসঙ্গত, পাঠ্যদানের অনুমতি না থাকায় বিয়ানীবাজার পৌরসভার শেখ ওয়াহিদুর রহমান একাডেমীর ইংলিম মিডিয়ামের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের ক্লাসিক স্কুল এ- কলেজের অধিনে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে আসছিলো। গত সোমবার অন্যান্য শিক্ষারা প্রবেশ পত্র পেলেও পায়নি এ পাঁচ শিক্ষার্থী। তখন শিক্ষক ও অভিভাবকরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ক্লাসিক স্কুল এ- কলেজের কম্পিউটার অপারেটরের ভুলে এ শিক্ষার্থীদের এসএসসি অনলাইন ফরম পুরণ করা হয়নি।