রমজানের শুরু থেকেই খশির আব্দুল্লাহপুর বাজার নিয়ে এলাকার সচেতন মহলে উদ্বেগ উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। করোনা ভাইরাসের কারনে সমাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জন সাধারনেকে চলাচলের জন্য বলা হলেও আব্দুল্লাহপুর বাজারে তা মেনে ক্রয় বিক্রির হচ্ছে না। এই জন্য বড় কারন হলো সীমিত জায়গায় ক্রেতা ও বিক্রেতার সংখ্যা বেশি পরিমানে জড়ো হওয়া। আব্দুল্লাহপুর বাজারটির আয়োতন ছোট হওয়াতে এই সমস্যা প্রকট আকার ধারন করেছে।
অথচ আব্দুল্লাপুর থেকে মাত্র অধা কিলোমিটার দুরে বৈরাগীবাজার এখানে জায়গা বিশাল হলেও বিক্রেতা না থাকায় ক্রেতারা আসছেনা। বৈরাগীবাজারে মাছ তরকারি বিক্রির জন্য বিশাল আয়তনের ২টি করে নির্দিষ্ট ৪টি ছনতর তৈরি হলেও তা অব্যবহিরত হয়ে আছে। বৈরাগীবাজারের ছনতরগুলো যথাযথ ব্যবহার করলে মাছ এবং তরিতরকারির ব্যবসায়ীগণ দূরত্ব বজায় রেখে পন্য বেচাকেনা করতে পারতেন।
তাই বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রশাসনের কাছে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আব্দুল্লাহপুরের বাজারে জায়গা অনুযায়ী দুরত্ব বজায় রেখে ব্যবসায়ীদের সংখ্যা নির্ধারন করে দিয়ে বাকী ব্যবসায়ীগনকে বৈরাগীবাজারে ব্যবসা করার জন্য পাঠিয়ে দিন।
আরেকটি বিষয় উল্লেখ্য যে বৈরাগীবাজার সরকারের কাছে বৈধ এবং এখানে প্রতিবছর ইজারাদার ১০/১২ লক্ষ টাকা দিয়ে অনুমতি নিয়ে ঢোল আদায় করে থাকেন কিন্ত আব্দুল্লাপুর বাজারটি সরকারের তালিকাভুক্ত নয় এখান থেকে সরকার ইজারা বাবত কোন অর্থ পায় না। তাই বৈরাগীবাজারের বিশাল আয়োতনের সুযোগ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে সমাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার সুযোগ করে দিয়ে জনগনের জীবনের ঝোঁকি কমাতে প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
ইতিমধ্যে বৈরাগীবাজারস্থ আব্দুল্লাহপুর বাজার নিয়ে বিয়ানীবাজারের বিভিন্ন অনলাইনে নিউজ প্রতিবেদন সহ সচেতন মানুষ সোস্যাল মিডিয়াতে তমুল আলোচনা সমালোচনা হয়েছে কিন্তু প্রসাশন এখনো কিছুই করছে না।