কোভিড-১৯ বর্তমান বিশ্বের অন্যতম আলোচিত বিষয়। অন্যান্য দেশের মতোই বাংলাদেশেও দিন দিন বেড়ে চলেছে এ সংক্রমণ।
সংকটময় এ সময়ে কেবল ভাইরাস দ্বারাই নয়; দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত হয়ে আর্থিকভাবে মরেও বেঁচে থাকার আকাক্সক্ষা নিয়ে লকডাউনের প্রতিটি মুহূর্ত অতিক্রম করছে এক শ্রেণির মানুষ।
আপনারা হয়তো ভাবছেন, হতদরিদ্র বা দরিদ্র মানুষের কথা স্মরণ করার ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে এবং এ কথাও ভাবছেন যে, সরকার প্রধানসহ সবাই তো তাদের জন্যই কাজ করেই যাচ্ছে। প্রতিদিন তাদেরকে ত্রাণ-সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের খবর কেউ কি রাখছে বর্তমানে?
বিত্তশালীদের কথা না বললেও চলবে। কেননা, এরূপ পরিস্থিতিতে কেবল সংক্রমণের আশঙ্কা ছাড়া তাদের আর কোনো ভয় নেই। আর নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য রয়েছে সাহায্যের বহু হাত। দেশের এই ভয়ংকর সময়ে কেবল জমানো টাকা ভেঙে নিজেদের মৌলিক চাহিদা মেটানোর চেষ্টায় আছে সমাজের মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তরা। কারও কাছে হাত পাতা যাদের সম্ভব নয়; কারও কাছে নিজেদের খারাপ অবস্থার কথা বলতেও তারা অপারগ।
স্কুল-কলেজের শ্রেণিকক্ষের সঙ্গে তুলনা করা চলে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-মধ্যবিত্তের বর্তমান অবস্থাকে। ক্লাসের প্রথম সারির শিক্ষার্থীর কথা সবাই মনে রাখে। আবার একইভাবে একদম পেছনের সারিতে যারা বসে, তাদের কথাও মনে রাখা হয়। মানুষ কেবল ভুলে যায় তাদের কথা, যারা মাঝের সারির ছাত্রছাত্রী। এদের নিয়ে কারোরই মাথাব্যথা থাকে না।
সমাজের মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনও ঠিক তেমনিভাবে সবার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়। অথচ এই মাঝের সারির মানুষগুলোর মধ্য থেকেই বেরিয়ে এসেছে অসাধারণ সব প্রতিভা।
যুগে যুগে এই মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষগুলোই সমাজ পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। সব সংগ্রামে সবার আগে এগিয়ে এসেছে। তাই আমাদের সবার উচিত, যারা মুখ ফুটে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে পারে না; সেই মানুষগুলোর পাশে থেকে তাদের সাহায্য করা।
শিক্ষার্থী, জয়দেবপুর,গাজীপুর