বিশুদ্ধ হাদীস থেকে জানা যায় যে, লাইলাতুল কদর রমজানের শেষ দশ দিনের যে কোন বিজোড় রাত্রিতে হয়ে থাকে। বিভিন্ন সহীহ হাদীসে ২১, ২৩, ২৫, ২৭ ও ২৯ তারিখে লাইলাতুল কদর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা উল্লেখিত আছে।

আমাদের দেশে সরকারী আর বেসরকারীভাবে জাঁকজমকের সঙ্গে ২৭ তারিখের রাত্রিকে লাইলাতুল কদরের রাত হিসেবে পালন করা হয়। এভাবে মাত্র একটি রাত্রিকে লাইলাতুল কদর সাব্যস্ত করার কোন সহিহ বর্ণনা নেই। আর এটা ঠিক নয়।

লাইলাতুল কদরের সওয়াব পেতে চাইলে অবশ্যই আমাদের ৫টি বিজোড় রাত্রেই অনুসন্ধান করতে হবে। অন্যথায় ১টি মাত্র রাত নিদিষ্ট করার ফলে আমরা অনেক বড় ফজিলত পূর্ণ রাত হতে বঞ্চিত হতে পারি।

عَنْ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‏”‏‏.‏
‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
আল্লাহর রসূল (সঃ) বলেছেনঃ তোমরা রমযানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদ্‌রের অনুসন্ধান কর। (সহিহ বুখারী)

অন্য এক বর্ণনায় আছে,
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ‏”‏‏.‏
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
নবী (সঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রমযানে ঈমানের সাথে ও সওয়াব লাভের আশায় সাওম পালন করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয় এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সওয়াব লাভের আশায় লাইলাতুল ক্বদ্‌রে রাত জেগে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করে, তার পূর্ববর্তী গুনাহসমূহ মাফ করে দেয়া হয়। (সহিহ বুখারী)

ইমামুল হাসান চাঁদপুরী
খতিব: বাইতুর রশীদ জামে মসজিদ , ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *