করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন বিয়ানীবাজারের দ্বিতীয় করোনা রোগী আলম হোসেন। সোমবার (১১ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবু ইসহাক আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত ২৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল ও গাজীপুর ফেরত জুয়েলার্স কারিগর বিয়ানীবাজার উপজেলা প্রথম করোনা পজেটিভ রোগ শনাক্ত হন। পরে বিয়ানীবাজার পৌরসভার নয়াগ্রামস্থ বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বাস করা করোনা পজেটিভ রোগী আকবর হোসেনের সংস্পর্শে থাকায় ৩০ এপ্রিল করোনা আক্রান হন ওই বাড়ি কেয়ারটেকার আলম হোসেন (৪৫)। আলম হোসেনের বাড়ি উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের মেওয়্যা গ্রামে। পরে তাকে সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে সোমবার (১১ মে) বিকালে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, নতুন শনাক্ত হওয়া তিনজনের ২জন মোটামুটি সুস্থ রয়েছেন। তবে একজনের শরীরে সামান্য জ্বর আছে, তাকে বাসায় রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আর সুস্থ দুজনের মধ্যে একজন নিজ বাড়িতে আর অন্যজন হাসপাতালের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। অন্যদিকে, প্রথম পজেটিভ রোগী আকবর হোসেন সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনিও সুস্থ আছেন।
এদিকে, সোমবার (১১ মে) বিকাল সাড়ে ৪টায় এ প্রতিবেদন লিখা পর্যন্ত নতুন কোনো করোনা রিপোর্টের ফলাফল পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত বিয়ানীবাজার উপজেলা থেকে ১১১ নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে প্রেরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০টি নেগেটিভ ও ৫টি পজেটিভ ফলাফল এসেছে। তবে এখনো ৩৬টি নমুনার ফলাফল অপেক্ষমাণ রয়েছে।