বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথের অবসরজনিত উপলক্ষে শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন কলেজ শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম, গীতা পাঠ করেন সঞ্জয় দেব নাথ।
রোববার (২৮ জুন) বেলা দু’টায় শিক্ষক পরিষদ মিলনায়তনে বিদায়ী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘একজন আদর্শবান শিক্ষক, দক্ষ প্রশাসক ও ভালো মনের মানুষ ছিলেন বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ। তিনি এই কলেজের সার্বিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। স্যার কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়েছিলেন। তাঁর কোন তুলনা হতে পারে না। তিনি সর্বোপরি পঞ্চখণ্ডের জ্ঞান চর্চার একজন সার্থক পুরুষ। বক্তারা স্যারের সু-স্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।’
কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক এনামুল হক তালুকদার এর পরিচালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ স্যারের সহধর্মিণী অর্চনা দেব নাথ, বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাবিবুর রহমান, দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শহিদুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মনসুর আলমগীর, অর্থনীতি বিভাগের সহায়তা অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ মো. শেরুজ্জামান, সুনামগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক অধ্যাপক ইকতেখার আলম, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কথা সাহিত্যিক প্রশান্ত কুমার মৃধা, সাংবাদিক ছাদেক আহমদ আজাদ।
বিদায়ী বক্তব্যে অধ্যাপক দ্বারকেশ চন্দ্র নাথ বলেন, ‘বিয়ানীবাজার কলেজের সামগ্রিক উন্নয়নে এ জনপদের কৃতিসন্তান সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি’র অবদান অনস্বীকার্য। তিনি কলেজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় সহযোগিতা করায় শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রহিম, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দিবাকর চন্দ্র পাল, দর্শন বিভাগের প্রভাষক ইশতিয়াক আহমদ, ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক উর্মি লাবণী চক্রবর্তী, শিক্ষক ফয়জুল ইসলাম, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষক আরবাব হোসেন খান, বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন প্রভাষক মো. জহির উদ্দিন, হাবিবুর রহমান, জুবায়ের আহমদ, জলঢুপ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাধন কৃষ্ণ নাথ, সঞ্জয় কুমার নাথ, সাংবাদিক আহমদ রেজা চৌধুরী।