রাশিয়ায় মানবদেহে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু হয়েছে। গত বুধবার এ কথা জানান রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আগামী তিন-চার মাসের মধ্যেই জনসাধারণকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের অনেক দেশই। মানব শরীরে করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগও হয়েছে কয়েক জায়গায়। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হলো রাশিয়া। মস্কোর গ্যামেলিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট মানব শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করেছে বলে রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
লিকুইড ও পাউডার, এই দুই আকারেই পাওয়া যাচ্ছে করোনার ভ্যাকসিন। করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য স্বেচ্ছাসেবকের দুটি দল গঠন করা হয়েছে। প্রতি দলে ৩৮ জন করে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এক দলের ওপর পাউডার ফর্মে করোনা ভ্যাকসিন এবং অন্য দলের ওপর তরল আকারে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।

এই পরীক্ষা সফল হলো কিনা- তা দেড় মাসের মধ্যে বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন গ্যামেলিয়া সায়েন্টিফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির প্রধান আলেকজান্দার গিন্টসবুর্গ। ২১ দিন পর ফের এই স্বেচ্ছাসেবকদের ওপর আর এক প্রস্থ করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। এ মাসেই কিওরভ্যাক টিকার ট্রায়াল : এ মাসেই করোনা টিকার হিউম্যান ট্রায়াল চালাবে জার্মান প্রতিষ্ঠান কিওরভ্যাক।

এ নিয়ে দেশটির দ্বিতীয় কোনো কোম্পানি মানবদেহে করোনা টিকা পরীক্ষার অনুমতি পেল। বুধবার জার্মানির টিকা পরীক্ষা ও অনুমোদন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠান পাউল এয়ারলিশ ইনস্টিটিউট এ তথ্য জানিয়েছে। ১৬৮ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষা চালাবে কিওরভ্যাক। এ মাসেই ১৪৪ জনকে টিকা দেওয়া হবে। প্রাথমিক ফল সন্তোষজনক হলে সেপ্টেম্বর বা অক্টোবরে আরও বড় পরিসরে পরীক্ষা শুরু হবে। পাউল এয়ারলিশ ইনস্টিটিউট বলছে, কিওরভ্যাকের পরীক্ষার ফল খুব ভালো’ হলে ২০২১ সালের শুরুতে তারা টিকা অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে আগামী বছরের মাঝামাঝি টিকা বাজারে আসতে পারে বলে জানিয়েছে কিওরভ্যাক।

তথ্যসূত্র : এই সময়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *