ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার গোবরাকুড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে নিহত ওই যুবকের লাশ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তাস্তর করেছে বিএসএফ।

নিহত যুবকের নাম আবদুল জলিল (৩০)। তিনি উপজেলার সীমান্তবর্তী পশ্চিম গোবরাকুড়া গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, নিহত জলিল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।

পরিবার ও বিজিবি গোবরাকুড়া ক্যাম্প সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন আবদুল জলিল। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের পশ্চিম পাশে ভারতীয় সীমান্তের ২০০ গজ অভ্যন্তরে নদীর তীরে অবস্থান করছিলেন বলে জানা যায়। সেখানে মঙ্গলবার ভোরে বিএসএফের গুলিতে জলিল নিহত হয়েছেন। পরে বিএসএফ লাশ নিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেল পাঁচটায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করেছে।

নিহত যুবকের বড় ভাই মো. শুকুর আলী বলেন, ‘জলিল মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। গতকাল নিজ শরীরের আগুন ধরিয়ে দিয়ে লুঙ্গি ও জামা পুড়ে ফেলে। এ জন্য তাকে শাসন করেছিলাম। এরপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুনেছি জলিল রাগ করে ভারতে সীমানায় চলে যায়। সেখানে বিএসএফের গুলিতে সে মারা গেছে। পরে গোবরাকুড়া বিওপি ক্যাম্পে জানালে তারা বিএসএফের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে।’

গোবরাকুড়া বিওপি কোম্পানি কমান্ডার আবদুল মজিদ বলেন, বিকেল পাঁচটায় গোবরাকুড়া স্থলবন্দরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ। পরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *