তানজিম সায়েম। বয়স মাত্র ২১ বছর। আমেরিকায় এসেছিলেন লেখাপড়া করার জন্য। যে কারণে এসেই বস্টন চলে গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে মাত্র চারমাস আগে এসেছেন।

আমেরিকায় এসেছিলেন লেখাপড়া করার জন্য। যে কারণে আমেরিকায় এসেই বস্টন চলে গিয়েছিলেন। বাংলাদেশ থেকে মাত্র চার মাস আগে এসেছিলেন। লেখাপড়ার খরচ চালানোর জন্য বাংলাদেশী মালিকানাধীন বস্টনের রক্সভারির ৭১৮ সুয়ামুট এভিনিউতে অবস্থিত এমআর কনভেনিয়ন্স স্টোরে রাতের শিফটে কাজ করতেন।

গত ১৪ জুলাই তানজিম সায়েম কাজ করতে এসেছিলেন। রাত প্রায় ৯টা ১৫ মিনিটের সময় এক দুষ্কৃতকারী বন্দন হাতে স্টোরে প্রবেশ করেন।

দোকানের মালিক আব্দুল মতিন পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে বিভিন্ন মিডিয়াকে জানান, তানজিমের কাছে দুষ্কৃতকারী অর্থ চেয়েছিলো, তিনি তাকে কোন উচ্চবাক্য না করে অর্থ দিয়ে দেন, সিগারেট চেয়েছিলেন তাও দিয়ে দেন, টি শার্ট চেয়েছিলেন তাও দিয়ে দেন।

পরে দৃষ্কৃতকারী তানজিমকে অফিস দেখাতে বলেন। তার কথা অনুযায়ীই তানজিম তাকে বেইসমেন্টে তাদের অফিসে নিয়ে যান। বেইসমেন্টে নিয়ে যাবার পর দুষ্কৃতকারী বন্দুক হাতে নিয়ে তানজিমকে মাটিতে শুয়ে পড়তে বলে।

ঐ মহিলা লটো খেলতে এসে দেখতে পান যে দোকানের উপরে কেউ নেই। তিনি বেইসমেন্টে তাকাতেই তামজিমকে রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেন। সাথে সাথেই তিনি পুলিশকে কল করেন।

পুলিশ এসে তানজিমকে বস্টন মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখানে অপারেশন করে তানজিমের মাথায় সফল অস্ত্রপাচার করা হয়। জানা গেছে, তার মাথা থেকে গুলি বের করা হয়েছে। কিন্তু এখনো তানজিমের জ্ঞান ফিরে আসেনি। তাকে ইনসেনটিভ কেয়ারে রাখা হয়েছে। কবে জ্ঞান ফিরে আসবে তাও ডাক্তাররা নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

তানজিমের বন্ধু হুমায়ুন মোর্শেদ এবং দোকানের মালিক আব্দুল মতিন জানান, তানজিম খুবই ভাল ছেলে। সে আমেরিকায় এসেছিলো উচ্চ শিক্ষার জন্য। কিন্তু আজকে তার স্বপ্ন অনেকটা ফিকে হয়ে গিয়েছে।

গুলিতে তানজিমের স্বপ্ন ধুলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। সেই সাথে অনেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাদের দাবি দৃষ্কৃতকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক। এ দিকে তানজিমের পরিবারের জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী ব্যবসায়ীরা অর্থ সাহার্য করছেন।

তাদের টার্গেট ৫০ হাজার ডলার। ইতিমধ্যেই তারা প্রায় ১২ হাজার ডলারের মত সংগ্রহ করেছেন। তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে তারা জানান।তথ্য সূত্র: ঠিকানা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *