সম্পাদকীয় : কোরবানীর ইতিহাস এখন আর কারো অজানা নয়।মহান আল্লাহ তা’আলা হযরত ইব্রাহীম কে স্বপ্নযোগে তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুটি কুরবানি করার নির্দেশ দেন ।

ইব্রাহীম স্বপ্নে এ আদেশ পেয়ে প্রথমে ১০টি উট কোরবানি করলেন। পুনরায় তিনি একই স্বপ্ন দেখলেন। ইব্রাহীম আবার ১০০টি উট কোরবানি করেন।

এরপরেও তিনি একই স্বপ্ন দেখে ভাবলেন, আমার কাছে তো এ মুহূর্তে প্রিয় পুত্র ইসমাইল (আ.) ছাড়া আর কোনো প্রিয় বস্তু নেই। তখন তিনি পুত্রকে কোরবানির উদ্দেশ্যে আরাফাতের ময়দানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

যখন ইব্রাহীম আরাফাত পর্বতের উপর তাঁর পুত্রকে কোরবানি দেয়ার জন্য গলদেশে ছুরি চালানোর চেষ্টা করেন, তখন তিনি বিস্মিত হয়ে দেখেন যে তাঁর পুত্রের পরিবর্তে একটি প্রাণী কোরবানি হয়েছে এবং তাঁর পুত্রের কোন ক্ষতি হয়নি। এই ঘটনাকে স্মরণ করে সারা বিশ্বের মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রতি বছর এই দিবসটি ঈদ উল আজহা নামে উদযাপন করে।

এই দিনে আমরা মুসলীমরা যাদের উপর কোরবানী ফরজ তাদের জন্য কোরবানী করা অত্যাবশ্যক ।

ইসলামের পরিভাষায় কুরবানী হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আল্লাহর সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্দিষ্ট পশু কোরবানি করা।

আসুন এই পশু কোরবানীর মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের মনের পশুত্ত্ব কে কোরবানী দিয়ে একটি সঠিক সুন্দর সমাজ বিনির্মানে এগিয়ে আসি ।

কামরুল হাসান মুন্না
সম্পাদক: বৈরাগীবাজার নিউজ ডটকম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *