বিয়ানীবাজারে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থতার হার বাড়ছে। প্রথমদিকে করোনা রোগীর সেরে উঠার হার কম থাকলেও এখন দ্রুত সেরে ওঠার হার বাড়ছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় সুস্থ হয়েছেন ১৯৬ জন, যা মোট আক্রান্তের ৬৮.৫৩ শতাংশ।
গত ২৪ এপ্রিল টাঙ্গাইল ফেরত এক জুয়েলার্স কারিগরের শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এরপর থেকে বুধবার দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এ উপজেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৬ জনে এবং মারা গেছেন ১৪জন। এ উপজেলায় ৭৬জন করোনা রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার নতুন করে আরও ৫জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। তবে আগামী আরও ৭ দিন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলতে হবে। নতুন সুস্থ হওয়া রোগীরা হচ্ছেন- পৌরসভার কসবা গ্রামের শাহনাজ পারভীন (৫৫), খাসা গ্রামের হাজেরা বেগম (৭০), তিলপাড়া ইউনিয়নের দেবারাই গ্রামের আব্দুল মতিন ও চান্দলা গ্রামের এমরান হোসেন (২২), মাথিউরা ইউনিয়নের সুতারকান্দি লিনা বেগম (২৬) এবং শেওলা ইউনিয়নের কোনাশালেশ্বর গ্রামের মোঃ জাহেদ হোসেন চৌধুরী (৬০)।
স্বাস্থ্য বিভাগের দিক থেকে রোগীদের সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া, সার্বক্ষণিক ফলোআপ করা, আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশের জটিল কোনো উপসর্গ না থাকা করোনা রোগীরা দ্রুত সেরে উঠছেন বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।