রেজাউল করিম লাবলু: ওয়ান-ইলেভেন থেকে দীর্ঘ ১৩ বছর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ রয়েছে। দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ও লিখিত আবেদন করে একাধিকবার জব্দ অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হলেও তাতে সাড়া দেয়নি সরকার। এতে করে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার ভাড়া, নিজের চিকিৎসা, ব্যক্তিগত স্টাফদের বেতনসহ অন্যান্য খরচ মেটাতে পারছেন না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে এসব কথা জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আয়কর উপদেষ্টা ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিভিন্ন ব্যাংকে চলতি, সঞ্চয়ী ও এফডিআরের আটটি অ্যাকাউন্ট জব্দ রয়েছে। একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে খালেদা জিয়ার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার আবেদন করা হলেও তাতে কাজ হচ্ছে না।
আহমেদ আযম বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া এখন প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা তুলতে পারেন। আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়ার আবেদন করা হয়। পরে খুলে না দিলে অন্তত ৫০ হাজার টাকার লিমিট যাতে তিন লাখ টাকা করা হয় সে জন্য আবেদন করা হয়েছে। সে আবেদনেও সাড়া নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
কীভাবে খালেদা জিয়ার খরচ মিটছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চেয়ারপারসনের স্বজন ও দলের পক্ষ থেকে খরচ মেটানো হচ্ছে। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য কোনো নেতার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ রয়েছে কি না জানতে চাইলে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘কারও অ্যাকাউন্ট বন্ধ আছে কি না আমার জানা নেই।
তথ্যসূত্র: বিডি ২৪ লাইভ