দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া মানুষের তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় অচেনা ভাইরাসটি কেড়ে নিয়েছে আরও ৩৯ প্রাণ। ফলে দেশে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো তিন হাজার ৪৩৮ জন। 

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা শনাক্ত হয়েছে আরও দুই হাজার ৯০৭ জনের মধ্যে। এতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এখন দুই লাখ ৬০ হাজার ৫০৭।

সোমবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস বিষয়ক দৈনন্দিন হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য তুলে ধরেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও জিংক-ভিটামিন সি জাতীয় খাদ্য গ্রহণ করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের দিক দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের পরই এখন বাংলাদেশ। উৎসস্থল চীনকে ছাড়িয়েছে এ তিনটি দেশই। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ফ্রান্স ও কানাডাকে পেছনে ফেলে ১৫তম। ইতোমধ্যে সংক্রমণে ইতালিকে পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। আর এশিয়ার ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তুরস্ককে পেছনে ফেলে ৫ম।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনা বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। সেদিন তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্তের কথা জানিয়েছিল আইইডিসিআর। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। দিন দিন করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ায় নড়েচড়ে বসে সরকার।

ভাইরাসটি যেন ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ২৬ মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সব সরকারি-বেসরকারি অফিস। কয়েক দফা বাড়ানো হয় সেই ছুটি। ৭ম দফায় বাড়ানো ছুটি চলে ৩০ মে পর্যন্ত। ৩১ মে থেকে সাধারণ ছুটি নেই। এখন বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ভিত্তিক লকডাউন দেয়া হয়। তাই অফিস আদালতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষায় সরঞ্জামাদি রাখা ও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *