টেকনাফে পুলিশের গুলিতে স্বেচ্চায় অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের নিহত হওয়ার ঘটনায় তার সঙ্গে থাকা স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী  সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেল সাদা পোশাকধারী লোকজন। সোমবার সোয়া দুইটায় দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।

এর আগে সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুর দুইটার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সিফাতের মামা মাসুম বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সিফাত আমার সঙ্গেই আছে।’ কবে ঢাকায় ফিরবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‌‌কয়েকদিন দেরি হবে।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের (টেকনাফ-৩) বিচারক তামান্না ফারাহ টেকনাফ থনায় দুই মামলায় সিফাতের জামিন মঞ্জুর করেন।

সিনহা নিহতের ঘটনায় এবং তার গাড়ি থেকে মাদক উদ্ধারের অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা এ মামলা দুটির তদন্তভার আদালত র‌্যাবকে দিয়েছে বলেও সিফাতের আইনজীবী মোহাম্মদ মোস্তফা জানিয়েছেন।

মোহাম্মদ মোস্তফা বলেন, ‘আমরা পুলিশের সাজানো মামলা থেকে সিফাতের মুক্তি এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র‌্যাবের কাছে হস্তান্তরের আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ পাঁচ হাজার টাকা জিম্মায় সিফাতকে জামিন দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করে র‌্যাবকে ন্যস্ত করেছেন। সিনহা হত্যা মামলার একমাত্র সাক্ষী সিফাতকে র‌্যাব হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আইনি কোনো সমস্যা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *