টিভি পর্দার পরিচিত মুখ অভিনেতা কে এস ফিরোজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তার মৃত্যু হয় বলে তার মেয়ে নাদিয়া ফিরোজ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বাবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ছিলেন। ২৮ অগাস্ট তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। অক্সিজেন স্যাচুরেশন কমতে থাকায় ৩০ অগাস্ট তাকে সিএমএইচে নেওয়া হয়েছিল।চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইবার বাবার স্ট্রোক হয়। বুধবার দ্বিতীয় স্ট্রোকে বাবার মৃত্যু হয়েছে।

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর খন্দকার শাহেদ উদ্দিন ফিরোজকে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী বুধবার বাদ জোহর বনানী সেনানিবাস কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে নাদিয়া জানান।

বাংলা নাটকের পাশাপাশি সিনেমাতেও ফিরোজের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য। তবে তার শুরুটা হয়েছিল মঞ্চনাটক দিয়ে। নাট্যদল ‘থিয়েটার’-এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে অভিনয় শুরু করেন তিনি। কাজ করেছেন ‘সাত ঘাটের কানাকড়ি’, ‘কিং লিয়ার’ ও ‘রাক্ষসী’ মঞ্চনাটকে।

কে এস ফিরোজ টেলিভিশনে প্রথম অভিনয় করেন ‘দীপ তবুও জ্বলে’ নাটকে। এতে তার বিপরীতে ছিলেন ডলি ইব্রাহীম।

বরিশালে জন্ম নেওয়া এই অভিনেতা ১৯৬৭ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পদে চাকরি পান। ১৯৭৭ সালে মেজর পদে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। কে এস ফিরোজের প্রথম সিনেমা ‘লাওয়ারিশ’। আরও অভিনয় করেছেন ‘শঙ্খনাদ’, ‘বাঁশি’, ‘চন্দ্রগ্রহণ’ ও ‘বৃহন্নলা’তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *