জকিগঞ্জের ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কলাকুটা গ্রামের স্কুল পড়ুয়া ৭ বছরের এক কন্যা শিশুর গলায় গামছা প্যাচানো অবস্থায় ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।মেয়েটির নাম মাশরাফিয়া জান্নাত তাছমিয়া(৭) সে কলাকুটা গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে এবং স্থানীয় স্কাইলার্ক স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।


পারিবারের সদস্যরা জানান, মৃত শিশুটির পিতা ভারতে থাকেন এবং তার মা খালার বাড়িতে ছিলেন। শিশুটির কলেজে পড়ুয়া বড় বোন, কাজের মেয়ে ও চাচা বাড়ীতে ছিলেন। শিশুটির মা আত্নীয়ের বাড়িতে থাকায় ৩ সেপ্টেম্বর রাত প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে সে তার চাচা অাব্দুল খালিকের কাছে তার কক্ষে ঘুমিয়েছিলো। তাছমিয়াকে ঘুমে রেখে ভোর সাড়ে ৫টায় চাচা সিএনজি চালক গাড়ি নিয়ে গ্যাস আনতে গোলাপগঞ্জ চলে যান। সকাল ৮ টায় শিশুটির বড় বোন তাকে নিয়ে নাস্তা করে আবার ঘুমিয়ে পড়ে। সকাল অনুমানিক ১০টায় শিশুটিকে চাচার কক্ষের পাশের কক্ষে জানালার রডের সাথে ঝুলানো অবস্থায় পার্শ্ববর্তী রাস্তাও বাড়ির লোকজন দেখতে পায়। তখন তাদেরকে ডাকাডাকি করলে শিশুটির বড় বোন এসে শিশুটি জানালার রডের সাথে গামছা দিয়ে ঝুলানো দেখে তার মাকে ফোন দিয়ে জানায় বিষয়টি
খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঘাটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।


জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেন, শিশুটিকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে, ছোট মেয়ে কি কারণে সে আত্নহত্যা করেছে সেটা পরিস্কার নয়, মনে হচ্ছে রহস্যজনক। সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
জকিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মোঃ আব্দুন নাসের বলেন, বিষয়টি অবিশ্বাস্য।
যেহেতু ছোট মেয়ে সেখানে আমাদের সন্দেহ থেকেই যায়, তাই সঠিক তদন্তের জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠাবো।
তবে স্থানীয় লোকজনের মতে ছোট্ট অবুঝ শিশুটি কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিবে ? তার সঠিক অনুসন্ধান প্রয়োজন। এটা হত্যা না আত্নহত্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *