সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রাবাসে তুলে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি এম.সাইফুর রহমানের পর এবার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর সীমন্ত দিয়ে ভারত পালানোর সময় গ্রেফতার করা হয়েছে।

রোববার সকালে প্রধান আসামি এম. সাইফুর রহমানকে সুনামগঞ্জ এবং অর্জুনকে হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, এই ঘটনার পর থেকে ঘা ঢাকা দেয় জড়িতরা । নিরাপদ স্থান হিসেবে নিয়েছিল পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতকে । তাই সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই খেয়াঘাট দিয়ে ভারত যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল ধর্ষক সাইফুরের । কিন্তু পুলিশের সাঁড়শি অভিযানে ব্যর্থ হয় সাইফুরের ভারত পালানো । একই ভাবে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা এলাকা দিয়ে ভারতে পাড়ি দিতে চেয়ে ছিল এই ঘটনার ৪ নম্বর আসামি অর্জুন লস্কর। তবে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত এম সাইফুর রহমান সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার সোনাপুরের চান্দাইপাড়ার মো.তাহিদ মিয়ার ছেলে ও অর্জুন লস্কর সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে ।

দুই ধর্ষক সীমন্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যাওয়ার পরিকল্পনা থাকা সিলেটের সীমান্তবর্তী এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নজরধারী বৃদ্ধি করা হয়েছে । সেই সাথে অন্যদেরকে ধরতে পুলিশ বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে বলে জানা গেছে । এ ঘটনার একদিন পর ৬ আসামীর মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য-শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলা ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুমকে (২৫)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *