মহামারী করোনাভাইরাসে প্রতিদিন অনেক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ও মারা যাচ্ছেন। তার ওপরে এখন শীত প্রায় চলেই এসেছে। এ সময়ে ঠাণ্ডা-কাশি থেকে সুরক্ষিত থাকতে কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।
ঢামেক টেলিমেডিসিন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জায়েদ হোসেন যুগান্তরকে বলেন, শরীরের ৭০ শতাংশ-ই পানি। সুস্থ থাকতে প্রতিদিন অন্তত দুই লিটার পানি পান করা উচিত।
এ ছাড়া শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখা, শরীরকে সচল রাখা, ত্বক ও চুলকে ঠিক রাখা, কিডনির যত্ন, কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করের পানির বিকল্প নেই।
ঠাণ্ডা পানি পান না করে উষ্ণ পানি পান করলে উপকার পাবেন।
আসুন জেনে নিই কুসুম গরম পানি পানের উপকারিতা-
১. কুসুম গরম পানি পানে হজম ক্ষমতা বাড়ে, রক্ত চলাচলকে উন্নত হয়, ওজন হ্রাস এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
২. কুসুম গরম পানি পানে শরীর থেকে সব ধরনের ক্ষতিকারক টক্সিন দূর করে। গরম পানি পান করলে তা ঘাম ও মূত্রের মধ্য দিয়ে শরীরের টক্সিন দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে।
৩. কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় পান করতে পারেন কুসুম গরম পানি। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হলে রাতে ঘুমানোর আগে ও সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস করে কুসুম গরম পানি পান করুন। এতে অন্ত্রের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় অন্ত্রকে সংকুচিত করে বর্জ্য পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে।
৪. কুসুম গরম পানি পান করলে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়, প্রতিটি স্নায়ুকে সচল হয় ও শরীরের বিভিন্ন ব্যথা দূর হয়।
৫. মাথার যন্ত্রণা, গিঁটে গিঁটে ব্যথা, নারীর ঋতুচক্রের ব্যথায় পান করতে পারেন কুসুম গরম পানি।
৬. সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া, বুকে কফ জমা ও খুসখুসে কাশির সমস্যায় পান করতে পারে কুসুম গরম পানি।
৭. কুসুম গরম পানি পানে ত্বক আর্দ্র থাকে, বার্ধক্যের ছাপ কমায় ও স্কাল্পকে হাইড্রেটেড রেখে খুশকি থেকে দূরে রাখে।