সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণের ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলার আসামি অর্জুন লস্কর। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেটের অতিরিক্ত মূখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে অর্জুন লস্কর ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
একই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছেন এই মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানও। বিকেল সাড়ে ৫টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাইফুর রহমানের জবানবন্দি রেকর্ড করা চলছে। সাইফুরের পর আরেক আসামি রবিউল ইসলামও জবানবন্দি দিতে পারেন বলে জানা গেছে।
এরআগে পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার দুপুরে আদালতে তোলা হয় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আসামি সাইফুর, অর্জুন ও রবিউলকে।
দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে তাদেরকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ।
এর আগে ধর্ষণ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রথান আসামি সাইফুর রহমান ও আসামি অর্জুন লস্কর গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এবং একইদিন বিকেলে মামলার ৫নং আসামি রবিউল ইসলামকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
এদিকে এ মামলায় গ্রেপ্তারকৃত সন্দেহভাজন আসামি রাজন আহমদ, আইন উদ্দিন এবং এজাহারভূক্ত আসামি মুহিবুর রহমান রনি, ৩ নং আসামি তারেক ও ৬ নং আসামি মাহফুজুর রহমান মাছুমও রিমান্ডে রয়েছেন।
সেদিন তাদের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতের বিচারক সাইফুর রহমান।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত। এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিন করে প্রত্যেককে রিমান্ডে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।