বরিশালের বাকেরগঞ্জে ফাঁদে ফেলে ৪ বছরে ১১ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। ধর্ষণের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। পরে এক স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গেল বুধবার রাতে বাকেরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের বেতনসহ বিভিন্ন ফি মওকুফ ও পরীক্ষায় ভালো নম্বর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। পরে অন্তরঙ্গ ভিডিওচিত্র মুঠোফোনে ধারণ করে সেটি দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেন। এমনকি সেটাও গোপনে ভিডিও করেন। ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীদের অনৈতিক সম্পর্ক রাখতে বাধ্য করতেন তিনি। সম্প্রতি নওরোজ হীরার সঙ্গে জমি নিয়ে এক প্রতিবেশীর ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তারা মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।

null

এ সময় নওরোজ হীরার পকেট থেকে তার মুঠোফোন পড়ে যায়। পরে গ্রামের এক ব্যক্তি ওই মুঠোফোন কুড়িয়ে পান। মুঠোফোনটির মেমোরি কার্ডে সংরক্ষণ করে রাখা ১১ ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও সম্প্রতি গ্রামবাসীর মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান নওরোজ হীরা।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নওরোজ হীরা সিকদারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তবে তার এক নিকটাত্মীয় জানান, নওরোজ হীরার মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডটি ১৭ অক্টোবর চুরি হয়ে যায়। ১৯ অক্টোবর থেকে তার ধর্ষণের ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

বাকেরগঞ্জ থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ধর্ষণের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে ফরিদপুর ইউনিয়নের এক স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে নওরোজ হীরা সিকদারের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ২২ ধারায় স্কুলছাত্রীর জবানবন্দি শেষে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *