ঋণ পরিশোধ করতে কিছু জমি বিক্রি করেন নাসরুল হাওলাদার। কিন্তু জমি বিক্রির টাকা নিয়ে স্ত্রী আর বড় ছেলের সঙ্গে বিরোধ চলছিল তার। এরই জেরে বাবাকে গলা কেটে হত্যা করেন ছেলে ইমরান হাওলাদার। হত্যার সময় হাত-পা চেপে ধরেন মা রিনা বেগম।
বুধবার রাতে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাশবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসরুল হাওলাদার একই গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার রাতে নিজের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন নাসরুল হাওলাদার। পরে রাতেই মায়ের সহায়তায় বাবার গলা কাটেন ইমরান। গলা কাটার সময় একটি বড় পাত্রে নাসরুলের রক্ত ভরে রাখা হয়। আর লাশ গায়েব করতে কম্বলে পেঁচিয়ে বস্তাবন্দি করে পাশের একটি ছাগলের খামারে ফেলে রাখা হয়। ভোর হয়ে যাওয়ায় গায়েব করা আর সম্ভব হয়নি।
রয়েছেন। তবে নাসরুলের স্ত্রী রিনা বেগমকে আটক করেছে পুলিশ।
বাশবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন আকন বলেন, কিছুদিন আগে মানুষের দেনা-পাওনা পরিশোধ করতে ছয় শতক জমি বিক্রি করেন নাসরুল। ওই টাকার জন্য নাসরুলের সঙ্গে তার স্ত্রী রিনা ও বড় ছেলে ইমরানের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে নাসরুলকে হত্যা করা হয়। এমন হত্যাকাণ্ড দশমিনার মানুষ আর কখনো দেখেনি।
দশমিনা থানার ওসি মো. জসীম বলেন, নাসরুলের স্ত্রী রিনা বেগমকে আটক করা হয়েছে। বড় ছেলে ইমরানকেও আটকের চেষ্টা চলছে।