ছোট মেয়ের পাত্র পছন্দের আগে কোনো ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক আছে কিনা জানতে চান বাবা। জবাবে পরিবারের মতামতেই বিয়ে করবে বলে জানায় সাথী। মেয়ের সম্মতিতেই সোমবার বিয়ের দিন ধার্য করেন বাবা। কিন্তু বিয়ের আগের রাতে প্রেমিকের হাত ধরেই পালিয়ে যায় মেয়ে। এতে লজ্জায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন হতভাগ্য পিতা জাহাঙ্গীর হোসেন। সোমবার ভোরে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রসুলপুর ইউপির শালিয়াবহ গ্রামে এ ঘটনটি ঘটে। মৃত জাহাঙ্গীর হোসেন একই গ্রামের বাসিন্দা। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

স্বজনরা জানান, জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়েদের মধ্যে সাথী ছোট।

সে মাটিআটা দাখিল মাদরাসা থেকে এবার দাখিল পরীক্ষা দেয়ার কথা ছিল। তার সঙ্গে একই গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের কলেজ পড়ুয়া ছেলে মাসুদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে জানতে পারেন বাবা। বিষয়টি নিয়ে মেয়ের সঙ্গে কথা বললে অস্বীকার করে সে। পরিবারের মতামতেই বিয়ে করবে বলে জানায় সাথী। সম্মতি পেয়ে বাবা জাহাঙ্গীর একই উপজেলার কুশারিয়া গ্রামের এক পাত্রের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় সোমবার।

নিহতের বড় মেয়ের শ্বশুর শফিকুল ইসলাম বলেন, সন্তানদের মধ্যে সাথীকে তার বাবা অনেক বেশি আদর করতেন। বিয়ের আগের রাতে মেয়ে অন্য ছেলের হাত ধরে চলে গেছে এমন সংবাদে তিনি অনেক কষ্ট পান। কাউকে কোনো কিছু বুঝতে না দিয়ে রাতে সবার সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করে ঘুমাতে যান। ভোরে বাড়ির পাশে কাঁঠালগাছের ডালে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ইউপি সদস্য মো. সফর আলী বলেন, মেয়ের এমন ঘটনার কারণেই লজ্জায় ক্ষোভে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে প্রতিবেশীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি। এদিকে ছেলে এবং মেয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে জানান স্বজনরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *