বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা ও হুমকি প্রদান করায় ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর) ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হকের গ্রেপ্তার দাবি করেছে সিলেট জেলা যুবলীগ।

রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করছে সরকার। এর বিরোধিতা করছে ধর্মভিত্তিক বেশ কয়েকটি দল। যাদের মধ্যে চরমোনাই পীর ও মামুনুল হক রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হলে তা ভেঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীতে ফেলে দেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।

এর প্রতিবাদে সোমবার (৩০ নভেম্বর)কেন্দ্রিয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল করে সিলেট জেলা যুবলীগ।

জেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমদ ভিপির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদের পরিচালনায় মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভাস্কর্য আর মূর্তি এক বিষয় নয়। কিন্তু দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে মৌলবাদী অপশক্তি বিএনপি জামায়াতের স্বপ্ন বাস্তবায়নে উঠে পড়ে লেগেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক শক্তি আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠার পায়তারা করছে। তারা জাতির পিতার ভাস্কর্য উপড়ে ফেলার মতো স্পর্ধা দেখাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর একজন সৈনিক ‘‘বেঁচে থাকতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে এদেশে বেড়ে উঠতে দেওয়া হবে না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে অপরাজনীতির দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে। স্বাধীনতার বিরোধীতাকারী জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদিরা আজ ভাস্কর্যের বিরোধিতার নামে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে চলা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র করছে।

বক্তারা আরো বলেন, দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জাতির পিতার ভাস্কর্য নির্মানে কোন বাধা আসলে যুবলীগ তা প্রতিহত করতে প্রস্তত রয়েছে।

সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠ থেকে বের হওয়া মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে গিয়ে শেষ মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা যুবলীগ সভাপতি শামীম আহমদ ভিপি ও সাধারণ সম্পাদক মো.শামীম আহমদসহ জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ। এর আগে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সিলেটের ঐতিহাসিক রেজিস্টারি মাঠে সমবেত হোন জেলা যুবলীগে নেতৃবৃন্দ। এর আগে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা হতে খন্ড খন্ড মিছিল এসে রেজিষ্ট্রারী মাঠে জড়ো হয় । হাজার হাজার যুবলীগ নেতাকর্মীদের ঢল নামে মিছিলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *