মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের এওলাছড়া পানপুঞ্জির পাশে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় প্রেমিকের লাশের পাশে সারা রাত পরে ছিলো অজ্ঞান প্রেমিকা। শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে খবর পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেছে। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকি আত্মহত্যা এ নিয়ে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের গণকিয়া গ্রামের সিন্ধু মালাকারের ছেলে শিপন মালাকার তার প্রেমিকা কানিকিয়ারি গ্রামের মাহমুদ আলীর মেয়ে এনি আক্তারকে নিয়ে এওলাছড়া পানপুঞ্জির জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছিল। পরে সেখান থেকে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে প্রেমিক প্রেমিকা। তবে সীমান্তের দূর্গম পথে দেশ পাড়ি দিতে ব্যর্থ হয় তারা। সেখান থেকে ফেরার পথে পা ফসকে টিলার নিচে পড়ে অজ্ঞান হারায় প্রেমিকা এনি। যখন জ্ঞান ফিরে তখন দেখতে পায় তার প্রেমিক শিপন গেঞ্জি দিয়ে গাছের ডালে ফাঁস দিয়ে মৃত অবস্থায় পরে রয়েছে।

প্রেমিকা এনি আক্তার জানায়, শিপনের সাথে তার ২ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছে। শুক্রবার বিকেলে সে বাড়িতে রাগ করে শিপন মালাকারের সাথে ঘর ছাড়ে। কর্মধার এওলাছড়া পানপুঞ্জি এলাকা দিয়ে তারা ভারতে পালানোর চেষ্ঠা করে। পাহাড়ে হাটতে হাটতে রাত হয়ে যায়। সে সময় এনি পা ফসকে টিলার নিচে পড়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়ে। ভোরে তার জ্ঞান ফিরলে দেখে শিপনের লাশ গাছের ডালে ঝুলে আছে।
লাশ উদ্ধারকারী এসআই মাহসীন তালুকদার জানান, লাশের শরীরে অন্যকোন আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ছেলেটির (শিপন) পরণের সোয়েটার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ছিলো। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে ছেলেটি আত্মহত্যা করেছে।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভুষন রায় জানান, লাশটি ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে জানা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *