সারাদেশের মতো বিয়ানীবাজারে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা ৮ম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি। অনেক অভিভাবককেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে ফিরে আসতে দেখা গেছে। এর মধ্যে আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে হাম রুবেলা টিকাদান কর্মসূচি।
বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশেন বিয়ানীবাজার উপজেলা শাখার আয়োজনে নিয়োগবিধি সংশোধনসহ বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে গত ২৬ নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা কর্মবিরতি দিয়ে এই কর্মসূচি চালিয়ে আসছেন। এতে উপজেলার ২৬৬টি ঠিকা কেন্দ্রে ঠিকাদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শিশুকে টিকা দিতে আসা শামীমা নাসরিন বলেন, কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্র ঘুরে কাউকে পাইনি। বাধ্য হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি, কিন্তু এখানেও শুনছি তাদের কর্মবিরতি চলছে, টিকা দেয়া হবে না।

এ ব্যাপারে কথা হয়ে আন্দোলনরতদের সাথে। তাদের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন কেন্দ্রীয় পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শরফ উদ্দিন, সিলেট জেলার যুগ্ম সদস্য সচীব হোসেন আহমদ ও সিলেট জেলা হেল্থ এ্যাসিসটেন্ট এসোসিয়েশনের প্রচার সম্পাদক আশরাফুল হক বলেন, বলেন, আমরা যে কাজ করি সেই কাজের মূল্যায়ন চাই। আমরা টেকনিক্যাল কাজ করি কিন্তু সেই টেকনিক্যাল কাজের মর্যাদা পাই না। সেটি চাই এবং একই সাথে আমাদের বেতন বৈষম্য নিরসন চাই।
বিয়ানীবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোয়াজ্জেম আলী খান চৌধুরী বলেন, আমাদের হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টরা যারা রয়েছেন তারাতো আসলে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে। মাঠপর্যায়ে টিকাদান কর্মসূচি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি এই হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্টদের মাধ্যমে। গত কয়েকদিন ধরে তাদের আন্দোলনের কারণে তারা কেউ মাঠে যাচ্ছে না। এতে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আগামী ৫ ডিসেম্বর থেকে হাম-রুবেলার ক্যাম্পেইন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা পরিবর্তিত হয়ে ১২ ডিসেম্বরে নেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইনের সফলতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহে রয়েছে। তারপরেও আমাদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।