জেমকন খুলনা ও গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের রোমাঞ্চকর ম্যাচের মধ্য দিয়ে পর্দা নামল বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের। বিপিএলের আদলে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে জেমকন খুলনা। শিরোপা ছাড়াও ছিল ব্যক্তিগত পুরস্কারের ছড়াছড়ি।
প্রথমবারের মত দেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ছিল নানা পুরস্কারের ছড়াছড়ি, যেখানে টাকার অঙ্কও ছিল বড়। এসব পুরষ্কার জিতে বড় অঙ্কের অর্থ লাভের সুযোগও ছিল ক্রিকেটারদের সামনে। তাই কার হাতে কোন পুরষ্কার উঠে, তা দেখতে উদগ্রীব ছিলেন সমর্থকরা।
এর মধ্যে অন্যতম বড় পুরস্কারটি টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারের। আসরের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন রানার আপ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মুস্তাফিজুর রহমান। ১৫ লাখ টাকায় দল পাওয়া মুস্তাফিজ টুর্নামেন্ট-সেরা হিসেবে জিতেছেন আরও ৩ লাখ টাকা।
মুস্তাফিজের হাতেই উঠেছে টুর্নামেন্টের সেরা বোলারের পুরষ্কার। এজন্য তিনি পেয়েছেন আরও ২ লাখ টাকা। অর্থাৎ, টুর্নামেন্টে এককভাবে দারুণ পারফরম্যান্স করেই মুস্তাফিজ পেয়েছেন ৫ লাখ টাকা।
সেরা ব্যাটসম্যানদের পুরষ্কারও জিতেছেন গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের একজন, অনুমিতভাবেই তিনি লিটন দাস। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক অবশ্য ফাইনালে দলকে জেতাতে পারেননি। তবে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে জিতে নিয়েছেন ২ লাখ টাকা। ফাইনালে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ বা ম্যাচসেরা পুরষ্কার জিতে রিয়াদ পেয়েছেন ১ লাখ টাকা।
পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে বিশেষ পুরষ্কার বা অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ৪ ক্রিকেটার। তারা হলেন-মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, ফরচুন বরিশালের পারভেজ হোসেন ইমন, চট্টগ্রামের শরিফুল ইসলাম ও বেক্সিমকো ঢাকার রবিউল ইসলাম রবি। তারা প্রত্যেকে পুরষ্কার হিসেবে পেয়েছেন ১ লাখ টাকা করে।
এছাড়া টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতা জেমকন খুলনার প্রত্যেক ক্রিকেটার দেড় লাখ টাকা ও রানার আপ হওয়া গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রত্যেক ক্রিকেটার ৭৫ হাজার টাকা করে পেয়েছেন।
এক নজরে পুরস্কারসমূহ-
১ লাখ ৫০ হাজার- জেমকন খুলনার প্রত্যেক ক্রিকেটার।
৭৫ হাজার টাকা- গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের প্রত্যেক ক্রিকেটার।
৩ লাখ টাকা- টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান।
১ লাখ টাকা- ম্যান অব দ্যা ফাইনাল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
২ লাখ টাকা- টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটসম্যান লিটন দাস।
২ লাখ টাকা- টুর্নামেন্টের সেরা বোলার মুস্তাফিজুর রহমান।
১ লাখ টাকা- স্পেশাল পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড- নাজমুল হোসেন শান্ত, পারভেজ হোসেন ইমন, শরিফুল ইসলাম ও রবিউল ইসলাম রবি।