আর মাত্র একটি দিন বাকি। তারপর জকিগঞ্জ পৌরসভার কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন। ১৯৯৯ সালে গঠিত জকিগঞ্জ পৌরসভায় এবারের নির্বাচনে ১২ হাজার ৩৩৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ হলেও শেষ মুহূর্তের প্রচারণায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা।

নির্বাচনে মেয়র পদে ৮, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৯ ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৩ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদের নৌকা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা খলিল উদ্দিন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের পদত্যাগকারী আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ ‘নারিকেলগাছ’ প্রতিকে, আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক আহমদ ‘জগ’ প্রতিক নিয়ে, বিএনপির ধানের শীষ প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ তাপাদার, বিদ্রোহী প্রার্থী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন হীরা ‘চামচ’ প্রতিকে, ‘লাঙ্গল’ প্রতিকে জাতীয় পার্টির পৌর সভাপতি আব্দুল মালেক ফারুক, বাংলাদেশ আনজুমানে আল ইসলাহ সমর্থিত সতন্ত্র প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ হিফজুর রহমান লড়ছেন ‘মোবাইল’ প্রতিকে ও সোনার বাংলা সমিতির সভাপতি জাফরুল ইসলাম ‘হেঙ্গার’ প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বিদ্রোহী প্রার্থীর কারণে বিপাকে রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই প্রার্থীই। বিদ্রোহী প্রার্থীর জন্যই দলীয় প্রার্থীরা সুবিধা করতে পারছেন না বলে ধারণা সাধারণ ভোটারদের।

এ নির্বাচনে মূল আলোচনায় রয়েছেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী নারিকেল গাছের প্রতিনিধি আব্দুল আহাদ, আল আল ইসলাহ সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল মার্কার প্রতিনিধি কাজী হিফজুর রহমান, আওয়ামী লীগের অপর বিদ্রোহী জগ মার্কার প্রতিনিধি ফারুক আহমদ।

মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নৌকা এবং ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে যেসব নেতাকর্মী মাঠে রয়েছেন তাদের বেশীরভাগই শুধুমাত্র পদপদবী রক্ষা ও লোক দেখানোর জন্যই কাজ করছেন। ভিতরে ভিতরে তারা অন্য স্বতন্ত্র বা বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। ফলে নৌকা এবং ধানেরশীষের প্রার্থীরা মূল আলোচনায় আসতে পারছেন না বলেই অনেকের ধারণা।

এবারের নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে, ৩৩ জন কাউন্সিলর ও ৯জন মহিলা কাউন্সিলর লড়াই করছেন। দু’একজন ছাড়া বর্তমান কাউন্সিলরদের প্রায় সবাই রয়েছেন ঝুঁকির মধ্যে। এসব ওয়ার্ডে নতুন মুখ দেখা যেতে বলে জানা গেছে।

রিটার্নিং অফিসার ও সিলেট জেলা নির্বাচন অফিসার ফয়সল আমিন জানান, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশ বজায় রয়েছে। নির্বাচনের দিনও এমন সম্প্রীতি বজায় থাকবে বলে তিনি আশাবাদী।

তিনি জানান, নির্বাচনের দিন ৯টি কেন্দ্রেই ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ১৭ জন করে পুলিশ সদস্য ছাড়াও র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের ট্রাইকিং ফোর্স মাঠে থাকবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার প্রচার-প্রচারণার শেষ দিনে নৌকার পক্ষে গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক বুরহান উদ্দিনসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ।

বিএনপির ধানের শীষের পক্ষে সাবেক সংসদ সদস্য কলিম উদ্দিন মিলন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা কাইয়ুম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আবদুর রাজ্জাকসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ গণসংযোগ ও পথসভা করেছেন।

সূত্র: সিলেট ভয়েস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *