শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলায় মালেক খান (৪০) নামে এক ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মাকে হত্যা করেছে। রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে আটক করেছে।
নিহত ওই মায়ের নাম আনোয়ারা বেগম (৬০)। তিনি লক্ষিপুর গ্রামের মতিন খানের স্ত্রী।
এ বিষয়ে আনোয়ারা বেগমের ছোট ছেলে বারেক খান বলেন, ‘আমার ভাই মালেক দুইটি বিয়ে করেছে। দ্বিতীয় বিয়ে করায় প্রথম স্ত্রী আকলিমা বেগম (৩০) মালেকের বিরুদ্ধে মামলা করে। সেই মামলায় জেলও খেটেছে। জেল থেকে বের হওয়ার পর মালেক পাগলামি করত। মালেক ভাবতো আমার বোন লুৎফা বেগমকে (৩০) মা-বাবা জমি লিখে দিয়েছে। তাই বেশ কয়েকদিন ধরে মা-বাবা’র ওপর মালেক ক্ষিপ্ত। রোববার মাগরিব নামাজ শেষে চা তৈরির জন্য রান্না ঘরে যাচ্ছিল মা। তখন হঠাৎ ধারালো কুড়াল দিয়ে মাকে মাথায় কোপ দেয় মালেক। এরপর মা মারা যায়।’
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মালেক কুড়াল দিয়ে কোপায় তার মা আনোয়ারা বেগমকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে গোসাইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর রাতেই গ্রামবাসী মালেককে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেন।
এ বিষয়ে গোসাইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী জানান, ‘জমির জন্য মাকে হত্যা করেছে ছেলে। ঘটনার পর অভিযুক্ত মালেককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মালেকের বাবা মতিন খান বাদি হয়ে মালেক ও তার স্ত্রী আয়শা বেগমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।’