জৈষ্ঠ রিপোর্টার, হোসেন আহমদঃ উপজেলার বৈরাগীবাজারে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ১৬টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। সবকটি দোকানে তালা ভেঙ্গে চুরি করে চক্র। কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল সহ নগদ অর্থ লুটপাট করে নিয়ে যায় চোর চক্র। গত কয়েক মাস যাবত বিয়ানীবাজার উপজেলায় ডাকাতি ও চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে, পুলিশ প্রশাসন তৎপর থাকাও সত্যেও চুরি ডাকাতি কিছুতে কমানো যাচ্ছে না।
বৈরাগীবাজারে গভীর রাতে চুরির ঘটনায় কুড়ারবাজার রোডে অবস্থিত আহমদ ট্রেডার্স, সুবুর ট্রেডার্স, শাহপনার (ভূসি মালের দোকান), আব্দুর রহমান স্টোর, আসমা-উল হুসনা স্টোর, শাহারা ভেরাইটিজ স্টোর, কালারর্স (কাপড়ের দোকান), স্টাইল লফ্ট (কাপড়ের দোকান), মোহাম্মদ আলী এন্ড ব্রাদার্স, বুশরা ইলেক্ট্রনিকস, স্মাইল কম্পিউটার, স্কুল রোডে প্রতিক স্টোর সহ খশির আব্দুল্লাহপুরে স্কাই নেট, হাজী মাস্তাকিম আলী এন্ড সন্স, চা হোটেলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

বিয়ানীবাজার থানার তদন্ত অফিসার এসআই জিয়াউর রহমান জানান, আমাদের টিম কুড়ারবাজার ইউনিয়নে প্রতি রাতে টহলে থাকে। চোর চক্রদের ধরতে আমাদের অভিযানে অব্যাহত আছে।
কুড়ারবাজার ইউপি চেয়ারম্যান এএফএম আবু তাহের বলেন বৈরাগীবাজারে একই রাতে ১৬টি দোকান চুরির ঘটনায় আমি মর্মাহত। আমি অনেক দিন থেকে চেষ্টা করছি বাজারে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করার জন্য কিন্তু নানা বিধ কারনে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। ব্যবসায়ী সবাই সহনশীল হয়ে এগিয়ে না আসলে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি করা কষ্টকর হবে, আমি আশা রাখবো বাজারের ব্যবসায়ীরা ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনে সহযোগীতা করবেন। চোর চক্রদের ধরতে প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে।
বৈরাগীবাজারের ব্যবসায়ীরা জানান কয়েক বছর যাবত বাজারে নৈশপ্রহরী নাই, নৈশপ্রহরী না থাকায় চোররা সহজে চুরি করতে সক্ষম হয়েছে। আমরা চাই বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে বাজারের নিরাপত্তা, সৌন্দর্য্য, স্থিতিশীলতা ফিরে আসুক। এ বিষয়ে সংশ্লীষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। এবং প্রশাসন যেন বাজারে টহল যেন জোরদার করেন এটাই আমাদের দাবী।