সিলেটের রশিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ডা. শারমিন আক্তার অন্তরাকে (২৯) তার স্বামী ডা. আল মাহমুদ ইমরান খান ওরফে রুমেলের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
রোববারই তাকে স্বামীর মৃত্যুর খবর জানানো হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানান। স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন অন্তরা।
শুক্রবারের ওই দুর্ঘটনায় অন্তরা নিজেও গুরুতর আহত হন। অস্ত্রোপচারের পর এখন তার শারিরীক অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিাকে। তবে এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দন্ত বিভাগের চিকিৎসক, ডা. অন্তরার আত্মীয় ডা. মুমিনুল হক বলেন, গত রবিবার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপরই স্বামীর অবস্থা জানতে পীড়াপীড়ি শুরু করেন অন্তরা। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তাকে স্বামীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
ডা. মুমিনুল হক আরও বলেন, স্বামীর মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে শোকের প্রাথমিক ধাক্কা এখন কিছুটা কাটিয়ে উঠেছেন তিনি।
মুমহিনুল বলেন, অন্তরার শারিরীক অবস্থা এখন আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন। তিনি কথা বলতে পারছেন এবং মুখে খাবার খেতে পারছেন।
শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সিলেটের দক্ষিণ সুরমা রশীদপুরে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই চালকসহ আটজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তরার স্বামী আল মাহমুদ ইমরান খানও রয়েছেন।
নিহত ইমরান সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী অন্তরা গুরুতর আহত হন। ওই চিকিৎসক দম্পতি চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের বাসিন্দা। তারা সিলেটের সুবিদবাজারের ফাজিলচিশতে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
ইমরান সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক আমজাদ হোসেন খানের ছেলে। প্রায় সাত বছর আগে শারমিন আক্তার অন্তরার সঙ্গে ইমরানের বিয়ে হয়। তাদের সাড়ে চার বছর বয়সের ইনায়া খান ও তিন বছরের ইন্তিয়া খান নামের দুটি সন্তান আছে।
বিসিএস (স্বাস্থ্য) প্রিলিমিনারি পরীক্ষা দেওয়ানোর জন্য স্ত্রীকে নিয়ে ওইদিন এনার বাসে করে ঢাকা যাচ্ছিলেন ইমরান। রশিদুপুরে লন্ডন এক্সপ্রেস বাসের সাথে এনা বাসের সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
সূত্রঃ সুরমা নিউজ