প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে দিনদিন বেড়েই চলছে করোনার প্রকোপ। সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলটিতে কিছুতেই যেন কমছে না আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা। রাত পোহালেই শোনা যাচ্ছে মৃত্যুর সংবাদ। মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায়ও আরও ৪জন মানুষ চলে গেছেন না ফেরার দেশে। একই সাথে শনাক্তের সংখ্যায় যোগ হয়েছেন নতুন আরও ৭৯ জন মানুষ। করোনা ভাইরাসে নতুন আক্রান্ত হওয়াদের মধ্যে ৪৪ জনই সিলেটের বাসিন্দা।
আজ শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক ডা. সুলতানা রাজিয়া স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এই সময়ে চিকিৎসা নিয়ে আরও ১২১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটের চারটি ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় নতুন শনাক্ত হন ৭৯ জন। যার মধ্যে সিলেট জেলার ৪৪ জন, সুনামগঞ্জের ১ জন, হবিগঞ্জে ৮ জন, মৌলভীবাজারে ৯ জন ও সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে আরও ১৭ জনের দেহে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়।
ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়া নতুন ৭৯ জনসহ সিলেট বিভাগে কোভিড প্রমাণিত রোগীর সংখ্যা ২০ হাজার ৬৫১ জনে পৌঁছাল। এরমধ্যে শুধুমাত্র সিলেট জেলায় ১৩ হাজার ২৫০ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৭২৫ জন, হবিগঞ্জে ২ হাজার ৩৬০ জন ও মৌলভীবাজারে ২ হাজার ৩১৬ জনের শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে।
গত ২৪ ঘন্টায় ভাইরাসটি থেকে সুস্থ হওয়া ১২১ জনের মধ্যে সিলেটের ৮৩, হবিগঞ্জে ২৮ জন ও মৌলভীবাজারের ১০ জন কোভিড রোগী। গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবসহ করোনায় মোট ১৯ হাজার ১৪২ জন মানুষ সুস্থ হলেন। কোভিড জয় করা এই সংখ্যার মধ্যে সিলেট জেলার ১২ হাজার ৫৫২ জন, সুনামগঞ্জে ২ হাজার ৬২৭ জন, হবিগঞ্জে ১ হাজার ৮০৮ জন ও মৌলভীবাজারের রয়েছেন ২ হাজার ১৫৫ জন রোগী।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী গেল ২৪ ঘন্টায় বিভাগটিতে মারা যাওয়া ৪ জনের সবাই সিলেট জেলার বাসিন্দা। নতুন ৪ জনসহ এই পর্যন্ত সিলেট বিভাগটিতে ৩৫০ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে গেল কোভিড-১৯। এর মধ্যে সিলেট জেলার ২৭৭ জন, সুনামগঞ্জে ২৭ জন, হবিগঞ্জে ১৮ জন ও মৌলভীবাজারের ২৮ জন চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
প্রতিবেদন মতে, সিলেট জেলায় নতুন আরও ১২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজকের হিসেবসহ সবিমিলিয়ে বিভাগটির বিভিন্ন হাসপাতালে ২৩৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় ২১৪ জন, সুনামগঞ্জে ৪ জন, হবিগঞ্জে ১০ জন, মৌলভীবাজারে ৬ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।