উড়ন্ত শুরুর পর শ্রীলঙ্কান ইনিংসে জোড়া আঘাত হেনেছিলেন তাসকিন আহমেদ। এরপর আবার কুসল মেন্ডিসকে নিয়ে জুটি পেয়ে যান কুসল পেরেরা। তাসকিন এসে ফের ব্রেক থ্রো আনলেও অধিনায়ক পেরেরার সেঞ্চুরিতে এগিয়ে যাচ্ছে সফরকারীদের ইনিংস। তবে পেরেরার সেঞ্চুরির পথে বাংলাদেশের ফিল্ডারদের অবদানও কম নয়।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। আগে ব্যাট করতে গিয়ে ৩২ ওভার পর্যন্ত তারা তুলে ৩ উইকেটে ১৭৭ রান। ১০ চার, ১ ছক্কায় ৯৯ বলে সেঞ্চুরি করে ব্যাট করছেন পেরেরা।
৬৬ রানে তার ক্যাচ ছাড়েন মোস্তাফিজুর রহমান, ৭৯ রানে আফিফ হোসেন, আর ৯৯ রানে ক্যাচ পড়ে মাহমুদউল্লাহর হাত থেকে।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে বেহাল অবস্থায় থাকা লঙ্কানরা ব্যাট করতে নামে আগ্রাসী মেজাজ। দানুশকা গুনাথিলেকা আর কুসল পেরেরা মিলে প্রথম ১০ ওভারেই এনে ফেলেন ৭৭ রান। শরিফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোসাদ্দেক হোসেনদের সবাইকেই মারতে থাকেন লঙ্কান দুই ব্যাটসম্যান।
শরিফুল প্রথম দুই ওভারে দেন ১৭ রান। প্রথম ৫ ওভারের স্পেল থেকে ৩০ রান দেন মিরাজ। মোসাদ্দেকের দুই ওভার থেকে আসে ১৮ রান।
মোস্তাফিজ বল হাতে পান ১০ ওভার পর। নবম ওভারে বল হাতে পাওয়া তাসকিন তার দ্বিতীয় ওভারেই দারুণভাবে খেলায় ফেরান বাংলাদেশকে। বড় রানের আভাস দিতে থাকা গুনাথিলেকা তাসকিনের বলে প্লেইড অন হয়ে ফেরেন ৩৩ বলে ৩৯ করে। ওই ওভারের শেষ বলে আবার সাফল্য। তিনে নামা পাথুম নিশানকা তাসকিনের বাড়তি লাফানো বলে উইকেটের পেছনে দেন ক্যাচ।
এরপর সহ অধিনায়ক মেন্ডিসের সঙ্গে পেরা ৬৯ রানের জুটি গড়ে ফের দলকে দাপটের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। আগের দুই ম্যাচে রান না পাওয়া মেন্ডিসও খেলছিলেন সাবলীলভাবে।
তবে থিতু হয়ে ইনিংস বড় না করার দায় নিজেকেই দিতে হবে তাকে। তাসকিনের বলে অহেতুক শটে মিড অফে ধরা পড়েন ৩৬ বলে ২২ রান করে।
এর খানিক আগে সাকিবের বলে স্লগ সুইপে ক্যাচ দিয়েছিলেন পেরেরা। সেটা নাগালে থাকলেও জমাতে পারেননি আফিফ। এর আগে শর্ট থার্ড ম্যানে সাকিবের বলে ক্যাচ ছাড়েন নাঈম। জীবন পাওয়া লঙ্কান অধিনায়কই বাংলাদেশের জন্য এখন বড় কাঁটা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৩২ ওভারে ১৭৭/৩ ( গুনাথিলেকা ৩৯, পেরেরা ব্যাটিং ১০০*, নিশানকা ০, মেন্ডিস ২২, ধনঞ্জয়া ব্যাটিং ৭* ; শরিফুল ০/২৪, মিরাজ ০/৪০ , মোসাদ্দেক ০/৩২ , তাসকিন ৩/৩৮ , মোস্তাফিজ ০/১৫, সাকিব ০/২৩)