সৌম্য সরকার, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শামিম হোসেনের ব্যাটিং নৈপূণ্যে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ, টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে ২-১ ব্যবধানে হারায়।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২০ বলে ১৯৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে অনবদ্য ব্যাটিং করেন সৌম্য সরকার। 

২.২ ওভারে দলীয় ২০ রানে ব্লেসিং মুজারাবানির করা প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন নাঈম। তার আগে ৭ বলে ৩ রান করেন এ ওপেনার।

এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৫০ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। ৭.৪ ওভারে দলীয় ৭০ রানে নাঈমের মতো ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ১৩ বলে এক চার ও দুই ছক্কায় করেন ২৫ এ অলরাউন্ডার।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের স্বপ্ন দেখান সৌম্য। ৪০ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন এ ওপেনার। 

তৃতীয় উইকেটে রিয়াদের সঙ্গে ৩৫ বলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। দলকে জয় উপহার দিতে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ১৩.৩ ওভারে দলীয় ১৩৩ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৯ বলে ৯টি চার ও এক ছক্কায় ক্যারিয়ার সেরা ৬৮ রান করেন সৌম্য। 

সৌম্য আউট হওয়ার পর ছক্কায় ইনিংস শুরু করা আফিফ হোসেন মাত্র ৫ বলে দুুটি ছক্কায় ১৪ রান করে বোল্ড আউট হয়ে ফেরেন। 

তিন ম্যাচ সিরিজের অঘোষিত ফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। টাইগার বোলারদের তুলোধুনো করে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েছে জিম্বাবুয়ে।

রোববার জিম্বাবুয়ের হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক দলের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। 

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে ও মারুমানি।

ইনিংসের শুরু থেকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৬ ওভারে ৬৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন মারুমানি। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ২০ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় ২৭ রান করেন তিনি। 

ব্যাটিং তাণ্ডব চালানো রেগিস চাকাভাকে সাজঘরে ফেরালেন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে মাত্র ২২ বলে ৬টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন চাকাভা। 

দুরন্ত শুরুর পর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্যর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তাকে রানের খাতা খোলার সুযোগ দেননি সৌম্য। 

ইনিংসের শুরু থেকে অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন ওয়েসলি মাধেভেরে।জিম্বাবুয়ের এ তারকা ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মাধেভেরে। 

এরপর ডিয়ন মাইয়ার্সের ২৩ আর রায়ান বুলের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ দলের হয়ে ২ উইকেট নেন সৌম্য। একটি করে উইকেট শিকার করেন সাইফউদ্দিন, সাকিব ও শরিফুল। 

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মধ্যে একটি করে জিতেছে উভয় দল। তাই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি অঘোষিত ফাইনালে পরিণত হয়েছে। এই ম্যাচে যারাই জিতবে সিরিজ নিশ্চিত তাদেরই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *