বর্তমানে ব্রিটেনে তেলের জন্য চলছে হাহাকার। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা বলা হচ্ছে তেলের ঘাটতি নেই কিন্তু লরি ড্রাইভারের অভাবে তেল সরবরাহ করা যাচ্ছে না।

বাস্তবে ব্রিটেনের বেশীর ভাগ তেলের পাম্প তেল না থাকার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কয়েকটি তেলের পাম্প খোলা আছে সেখানে দীর্ঘ লাইন। অনেক তেলের পাম্পে তেল নেওয়া নিয়ে চলে তর্কবিতর্ক ঘটছে অপ্রিতিকর ঘটনা।

দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা লাইনে থেকে গাড়িতে ডিজেল অথবা পেট্রোল তেলে ভর্তে গেলেন সেখানে মাত্র £৩০ পাউন্ডের তেল ভর্তে পারবেন। এখন থেকে তেলের পাম্পে গাড়ি প্রতি সর্বোচ্চ £৩০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

নীতিনির্ধারকরা মনে করেন সবাই যেনো তেল নিতে পারেন সেই জন্যই এই £৩০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।যাতে সবাই গাড়িতে তেল নিতে পারেন।

অনেক গাড়ি ড্রাইভার তেলে অভাবে গাড়ি রাস্তায় রেখে চলে গেছেন। অনেকেই আবার গাড়ি রেখে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যাবহার করছেন।

অনেকে তেল মজুত করার জন্য অথবা তেলের অভাবে আটকা পড়া গাড়ি চালাতে গ্যালন বা কন্টিনার নিয়ে পাম্পে গেলেও গাড়ি ছাড়া কেউ তেল নিতে পারছেন না।আইনগত ভাবেই গাড়ি ছাড়া অন্য কোন উপায়ে তেল মজুত করার কোন উপায় নেই।

বিপি এক বিবৃতিতে বলেছে, সাপ্লাই চেইন বিলম্ব ইউকে জুড়ে শিল্পের ব্যাপক চালক সংকটের কারণে প্রভাবিত হয়েছে।কোম্পানি পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমরা আমাদের পুরো বছরের জন্য সরবরাহকারীর সাথে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি যাতে বিঘ্ন কম হয় এবং দক্ষ ও কার্যকর ডেলিভারি নিশ্চিত হয়’।

এসোর একজন মুখপাত্র বলছেন,”আমরা আমাদের বিতরণ নেটওয়ার্কের সকল পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি সরবরাহকে অপ্টিমাইজ করতে এবং গ্রাহকদের অসুবিধা কমিয়ে আনতে। আমরা আমাদের গ্রাহকদের যে কোন অসুবিধার জন্য দুঃখিত।”

ডাউনিং স্ট্রিটের একজন মুখপাত্র বলেছেন,”মানুষের স্বাভাবিক হিসাবে জ্বালানি কেনা চালিয়ে যাওয়া উচিত।
ব্রিটেনে জ্বালানির কোনো ঘাটতি নেই, তবে লরি ড্রাইভারের অভাব আমরা স্পষ্টতই শিল্পের মুখোমুখি চ্যালেঞ্জগুলি স্বীকার করি এবং আমরা তাদের সমর্থন করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছি,”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *