যুক্তরাষ্ট্রের তিন রাজ্যে বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে চলছে ঘূর্ণিঝড় আইডার তাণ্ডব। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৫ জন হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক সিটিতে কমপক্ষে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ গাড়িতে এবং আটজন বন্যার পানি ঢুকে বাড়িরে ভেতরেই মারা যান।

এদিকে নিউ জার্সিতে কমপক্ষে আটজন এবং পেনসিলভেনিয়ার শহরতলির মন্টগোমেরি কাউন্টিতে তিনজন মারা গেছেন। এরমধ্যে একজন গাছের নিচে পড়ে মারা গেছে, একজন গাড়িতে এবং আরেকজন বাড়িতে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কানেকটিকাটে একজন কর্তব্যরত রাজ্য সৈন্যকে তার ক্রুজারটিতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল এবং পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এদিকে, নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এই দুর্যোগকে ‘ঐতিহাসিক আবহাওয়া পরিস্থিতি’ বলে উল্লেখ করেছেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডে ব্লাসিও।

নিউইয়র্কের প্রায় সব সাবওয়ে লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া অপ্রয়োজনীয় যানবাহন রাস্তায় বের না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক এবং নিউ জার্সির অনেক ফ্লাইট এবং রেল সেবা বাতিল করা হয়েছে।

সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সাবওয়ে স্টেশন, লোকজনের বাড়ি-ঘরে বন্যার পানি ঢুকে গেছে এবং রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে গেছে। এদিকে নিউ জার্সির কিয়ার্নিতে একটি ভবনের ছাদ ধসে পড়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সে সময় সেখানে বেশ কয়েকজন ছিল। উদ্ধারকারী কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে, কেউ হতাহত হয়েছে কি-না।

লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে ২৪০ কিলোমিটার বা ১৫০ মাইল বেগে আঘাত হানে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আইডা। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে ভারি বৃষ্টি ও আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *