সেমিফাইনালের আশা শেষ আগেই। কাগজে-কলমে যা একটু সম্ভাবনা আছে, সেটাও টিকিয়ে রাখতে হলে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আজ (মঙ্গলবার) জিততেই হবে।

তবে আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে লক্ষণ এবারও ভালো দেখা যাচ্ছে না। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছে টাইগাররা। ৩৬ রান তুলতে হারিয়েছে ৫ উইকেট।

অথচ ওপেনিং জুটিতে ইতিবাচকই মনে হচ্ছিল নাইম শেখ আর লিটন দাসকে। সেই ইতিবাচকতা অবশ্য বেশিক্ষণ টেকেনি।

২২ বলে ২২ রানের জুটি গড়েই সাজঘরের পথ ধরেন নাইম। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে কাগিসো রাবাদাকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ হন এই ব্যাটার (১১ বলে ৯)।

পরের বলে আউট সৌম্য সরকারও। রাবাদার দুর্দান্ত এক ইয়র্কার ডেলিভারি মিস করে প্যাডে লাগে বাঁহাতি এই ব্যাটারের। আবেদনে আম্পায়ার সাড়া না দিলে রিভিউ নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। তাতে সিদ্ধান্ত বদলে যায়। গোল্ডেন ডাকে ফেরেন সৌম্য।

এরপর উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারের দিকে তাকিয়ে ছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু মুশফিক আরও একবার হতাশাই উপহার দিয়েছেন।

নিজের আগের ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট পাওয়ায় রাবাদার হ্যাটট্রিকের সুযোগ ছিল। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বল কোনোমতে সামলান মুশফিক। কিন্তু তৃতীয় বলে ঠিকই উইকেট দিয়ে বসেন।

রাবাদার বাউন্সি ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে স্লিপে হেনড্রিকসের ক্যাচ হন মিস্টার ডিপেন্ডেবল (৩ বলে ০)।

পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেটে মাত্র ২৮ রান তোলে বাংলাদেশ। লিটন দাস ১৪ আর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ রানে কিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন, আফিফ প্রথম বলে ০ রানে আউট হন।

লিটন আর শামীম দলের বিপর্যয়ে কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছেন এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ৪০ রান সংগ্রহ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *