জরা, মৃত্যু আর বিষাদের আরও একটি বছর পেরিয়ে গেলো। ২০২০ সত্যিই বিষ নিয়ে হাজির হয়েছিলো মানবজাতির জন্য, এর রেশ থাকল পুরো ২০২১ খ্রিষ্টাব্দ জুড়ে। করোনা সংক্রমণের কারণে পুরো বিশ্বই ছিলো তটস্থ। পুরো বিশ্বজুড়েই ছিলো মৃত্যুর মিছিল, আর ঘরবন্দি জীবন।
সেই ভয় এখনও কাটেনি। থামেনি মৃত্যুর মিছিলও। করোনার ডেল্টা ধরনের পর এবার এসেছে অমিক্রন। করোনার টিকা উদ্ভাবনের পর সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও দেওয়া হচ্ছে এই টিকা। করোনার এই টিকা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। স্বাগত তাই ২০২২। সংক্রমণ ও মৃত্যুর মিছিল তবে থামুক। হোক জীবনের জয়গান।
বিষাদ, বিচ্ছেদ সব ছিল গেল বছরে। এই বছরও ফুরলো শেষ পর্যন্ত, অন্য অনেক বছরের মত। এলো আরো একটি বছর। শুরু হলো নতুন বছর। স্বাগত খ্রিস্টীয় নববর্ষ ২০২২। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও নানা আয়োজনে উদযাপন হবে।
২০২১ সালও ছিল মহামারি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের বছর। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ২০২১ সালে এসে একসঙ্গে অনেকগুলো মানুষ আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। প্রাণঘাতী করোনা কেড়ে নিয়েছে রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ দেশের হাজারো মানুষের প্রাণ। ঘটনাবহুল বছরটি মানুষের জীবনাচারে এনেছে আমূল পরিবর্তন। শুধু বাংলাদেশ নয়, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে ব্যস্ত ছিল পুরো বিশ্ব।
পুরনো বছরের গ্লানি ভুলে নতুনকে বরণ করার উৎসবে সারাবিশ্বের একাত্মতা বিশ্ববাসীকে একটু হলেও এক সুতায় গেঁথে রাখে। অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুনকে নিয়ে এগিয়ে চলার আনন্দময় ও উন্নত জীবনের গল্পে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।
নতুন বছরের কাছে প্রত্যাশা ভালো থাকার, সুন্দর থাকার। দেশটা হোক অস্থিতিশীলতা, সহিংসতা, নৃশংসতা ও জঙ্গিবাদমুক্ত। সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ, শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ পরিবেশে বেঁচে থাকুক স্বপ্নরা। সবাইকে ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।
বিদায় ২০২১, স্বাগত ২০২২!