অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে গত সপ্তাহে মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির মধ্যে একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জে।

ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মারা যাওয়া ওই বাংলাদেশিদের সঙ্গে পরিচয় শনাক্তকারী কোনো ধরনের ডকুমেন্ট না থাকায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে ওই বাংলাদেশিদের সঙ্গে ইতালির ল্যাম্পেডুসায় পৌঁছা অন্য বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে মৃত সাতজনের তথ্য পাওয়া গেছে।

ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস জানায়, মৃতদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি ছয়জনের পরিচিতরা উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন। মৃতদেহগুলো সরকারি খরচে দেশে ফেরত পাঠাতে হলে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। পরিচয় নিশ্চিত করতে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়/উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় বা ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের কল্যাণ শাখার ইমেইলে (welfare.romegmail.com) যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

সুনামগঞ্জের মারা যাওয়া সাজ্জাদ আহমেদের (২৪) বাড়ি জামালগঞ্জ উপজেলার ভিমখালি ইউনিয়নের ফেকুল মামুদপুর গ্রামে। তাঁর স্বপ্ন ছিল ইতালি যাবেন। সংসারের অভাব দূর করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় ভূমধ্যসাগরে।

ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে নির্বাক হয়ে গেছেন সুনামগঞ্জের সাজ্জাদ আহমেদের মা রহিমা খাতুন। শুধু বিলাপ করছেন তিনি। প্রতিবেশীরা সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নিজেরাও কেঁদে ফেলছেন। ছেলেহারা বাবা নূরুল আমিনও নিশ্চুপ। সরকারের কাছে তাঁর অনুরোধ, মৃত ছেলেকে ফিরিয়ে এনে একবার দেখার সুযোগ করা দেওয়া।

দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র ঠাণ্ডায় জমে মারা যান সাজ্জাদ আহমেদ (২৪)।

সাজ্জাদ আহমেদের পরিবারের সদস্যরা জানান, গত ৩ ডিসেম্বর লালুখালি গ্রামের ফয়জুর রহমান ও শান্তিগঞ্জ উপজেলার ধনপুর গ্রামের রফিক মিয়ার মাধ্যমে আট লাখ টাকা চুক্তিতে সাজ্জাদকে লিবিয়া হয়ে ইতালির উদ্দেশে পাঠান বাবা নূরুল আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *