বাছাই পর্বেই শেষ হয়ে গেল ইউরো চ্যাম্পিয়নদের কাতার ২০২২ বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টানা দুই আসরে খেলা হবে না ইতালির।

প্লে-অফ সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে নর্থ মেসিডোনিয়ার কাছে ১-০ ব্যবধানে হেরেছে ইতালি। ফলে ঘরের মাঠ থেকেই বিদায় হয়ে গেছে তাদের।

এই হারের জন্য নিজেদের দোষ দেওয়া ছাড়া আর কিইবা করার আছে ইতালির। ম্যাচজুড়ে তারা একের পর এক আক্রমণ করলো, নিলো শটের পর শট। কিন্তু লক্ষ্যে ছিল কমই, প্রতিপক্ষ দলের গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতেই যেন ব্যর্থ হলো ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। যার মাশুল দিতে হলো বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ করে।

মেসিডোনিয়া ইতালিকে আটকে রাখার কৌশলে পুরোপুরি সফলই বলা যায়। ৬৬ শতাংশ বল দখলে রেখে মোট ৩২টি শট নেয় ইতালি, যার মধ্যে ৫টি ছিল লক্ষ্যে। অন্যদিকে মাত্র ৪টি শট নেয় মেসিডোনিয়া, ২টি ছিল লক্ষ্যে, যার মধ্যে একটি গোল।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মূল মঞ্চে উঠতে ব্যর্থ হলো ইতালি। ১৯৫৮ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে ব্যর্থ হয় আজ্জুরিরা। দীর্ঘ ৬০ বছর ফের বাদ পড়ে ২০১৮ সালে। এবার টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বমঞ্চে উঠতে পারলো না চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।

ইতালিকে রুখে দেওয়ার পণ করেই যেন মাঠে নেমেছিল নর্থ মেসিডোনিয়া। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় নিজেদের অর্ধেই সময় কাটিয়েছেন তাদের খেলোয়াড়রা।

৩০তম মিনিটে মেসিডোনিয়া গোলরক্ষক স্তোলে দিমিত্রিয়েভস্কির ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন দোমেনিকো বেরার্দি। কিন্তু তিনি দুর্বল শট নেওয়ায় ঝাঁপিয়ে পড়ে বল আটকে দেন দিমিত্রিয়েভস্কি।

৩২তম মিনিটে লরেন্সো ইনসিনিয়ের দূরপাল্লার শট কাছের পোস্টে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। প্রথমার্ধের বাকি সময়েও আক্রমণ করেই যায় ইতালি। কিন্তু সেগুলো ছিল অগোছালো।

দ্বিতীয়ার্ধেও একই অবস্থা। ইতালি একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে। হতাশায় মুষড়ে পড়া ইতালিয়ান ফুটবলাররা যেন ড্রয়ের অপেক্ষা করছিলেন। এমন সময়েই ঘটে দুর্ঘটনা।

যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল পেয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সের বেশ বাইরে থেকে আড়াআড়ি শটে জাল খুঁজে নেন ত্রাজকোভস্কি। অকস্মাৎ এই গোলে স্তব্ধ হয়ে যায় পুরো ইতালি শিবির। স্বপ্ন ভাঙার বেদনায় মাঠেই বসে পড়েন ফুটবলাররা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *